ওএমআরে কারচুপি? নিয়োগে না! সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কোণঠাসা ‘অযোগ্য’ শিক্ষকেরা

ineligible teachers recruitment scam নয়াদিল্লি: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে চিহ্নিত ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের দুটি আর্জি শুক্রবার খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের স্পষ্ট মন্তব্য—যদি ওএমআর শিটে কারচুপি…

Ineligible Teachers Recruitment Scam

ineligible teachers recruitment scam

নয়াদিল্লি: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে চিহ্নিত ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের দুটি আর্জি শুক্রবার খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের স্পষ্ট মন্তব্য—যদি ওএমআর শিটে কারচুপি হয়ে থাকে, তাহলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরা নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না। একইসঙ্গে, এপ্রিল মাসের বেতন প্রদান সংক্রান্ত আবেদনের ক্ষেত্রেও আদালত অনড় থেকে তা খারিজ করেছে।

এই রায়ের ফলে প্রাক্তন চাকরিজীবী ওই ‘অযোগ্য’ শিক্ষকরা আরও গভীর সংকটে পড়লেন। কারণ, আদালতের রায় অনুযায়ী, তাঁরা একদিকে যেমন নতুন করে নিয়োগের সুযোগ পাবেন না, তেমনি পুরনো চাকরির জন্য বেতনের দাবি করাও খারিজ হল।

   

পেছনের প্রেক্ষাপট

২০১৬ সালের এসএসসি মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া ঘিরে চাঞ্চল্যকর দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই প্যানেল বাতিল হয়, আর তার জেরে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী চাকরি হারান।

এর মধ্যে প্রায় সাত হাজার চাকরিপ্রার্থীকে ‘অযোগ্য’ বলে চিহ্নিত করে আদালত ও তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। মূল অভিযোগ— ওএমআর শিটে নম্বর কারচুপি, সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি, অথবা মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল ব্যবহার করে নিয়োগ।

আর্জির আসল যুক্তি কী ছিল? ineligible teachers recruitment scam

এই ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের মধ্যে একাংশ সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানান, তাঁদের ওএমআর শিটে নম্বর সিবিআই এবং এসএসসি-র কাছে থাকা কপিতে আলাদা। এই যুক্তিকে সামনে রেখে তাঁরা নতুন করে শুরু হওয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন। পাশাপাশি এপ্রিল মাসের বেতনও চেয়েছিলেন আদালতের হস্তক্ষেপে।

কোর্টের জবাব— স্পষ্ট ও কঠিন

শুক্রবার বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ৩ এপ্রিলের রায়ে যে দৃষ্টিভঙ্গি নেওয়া হয়েছিল, তাতে কোনও পরিবর্তন আনার প্রয়োজন নেই। ওএমআর কারচুপি প্রমাণিত হলে প্রার্থী ‘অযোগ্য’— এটাই আদালতের চূড়ান্ত অবস্থান।

Advertisements

বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “রায় ঘোষণার পরে আবার যোগ্যতা-অযোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক তোলার কোনও অর্থ নেই।” এই মন্তব্যেই স্পষ্ট, সুপ্রিম কোর্ট আগেই যা বলেছে, তা চূড়ান্ত এবং সে বিষয়ে আর কোনও দ্বিধা রাখা হবে না।

প্রভাব কী পড়ল চাকরিহারাদের ওপর?

এই রায়ের পর কার্যত বন্ধ হয়ে গেল সেই ‘অযোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীদের ফেরার রাস্তা, যাঁরা নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ দেওয়ার আশা করেছিলেন। আরও বড় ধাক্কা— এপ্রিল মাসের বেতনও আটকে গেল।

প্রসঙ্গত, নতুন করে নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে চলতি বছরের মধ্যেই। তাতে ‘অযোগ্য’দের সুযোগ না দেওয়ার পক্ষে এই রায়কে কার্যত রক্ষাকবচ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে প্রশাসনের তরফে।

চাকরিহারাদের পক্ষে সওয়াল করেন দেশের প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগী ও বিশিষ্ট আইনজীবী করুণা নন্দী। তাঁদের যুক্তি ছিল, অনেকে প্যানেল বহির্ভূতভাবে চাকরি পেয়েছেন, কেউ কেউ সাদা খাতা জমা দিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, অনেকে আবার পুরনো মেয়াদোত্তীর্ণ প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছেন৷ এই তিন শ্রেণির কেউই সরাসরি মামলা সংক্রান্ত নয়—এই দাবি করেও আদালতকে নরম করা যায়নি। সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, “রায় ঘোষণার পরে যোগ্য বা অযোগ্যর কথা কীভাবে বলছেন?” গত ৩ এপ্রিলের রায়ে কোনও হস্তক্ষেপ করা হবে না বলেই সাফ জানুিয়ে দেওয়া হয়৷ 

 Bharat: The Supreme Court rejects two pleas from ‘ineligible’ teachers embroiled in West Bengal’s recruitment scam, denying them re-participation in the hiring process and withholding April salaries. This ruling deepens the crisis for those implicated in OMR sheet manipulation.