Sina Bora Murder case :মেয়ে শিনা জীবিত বলে সিবিআইকে চিঠি দিয়ে দাবি ইন্দ্রাণীর

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: চাঞ্চল্যকর মোড় নিল শিনা বোরা (sina bora) হত্যা মামলা। এই মামলার মূল অভিযুক্ত তথা শিনার মা ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায় (indrani mukherjee) সিবিআইকে দেওয়া…

Indrani Mukherjee claimed in a letter to CBI that her daughter Shina

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: চাঞ্চল্যকর মোড় নিল শিনা বোরা (sina bora) হত্যা মামলা। এই মামলার মূল অভিযুক্ত তথা শিনার মা ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায় (indrani mukherjee) সিবিআইকে দেওয়া এক চিঠিতে জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে জীবিত আছে। বহাল তবিয়তেই শিনা কাশ্মীরে (kashmir) বসবাস করছেন। অথচ মেয়েকে খুনের অভিযোগে তাঁকে জেলে (jail) আটকে রাখা হয়েছে।

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় সম্প্রতি সিবিআইয়ের ডিরেক্টরকে একটি চিঠি লিখেছেন। ওই চিঠিতে ইন্দ্রাণী জানিয়েছেন, কয়েক দিন আগে জেলের ভিতরে তার সঙ্গে অপর এক মহিলার পরিচয় হয়। ওই মহিলা তাঁকে জানিয়েছেন, শিনা বোরাকে তিনি কাশ্মীরে ঘুরতে দেখেছেন। বিষয়টি জানার পর ইন্দ্রাণী সিবিআইকে অনুরোধ করেছেন, গোয়েন্দা সংস্থা যেন একবার কাশ্মীরে শিনার সম্পর্কে অনুসন্ধান করে। তবে শুধু সিবিআইয়ের ডিরেক্টরকে চিঠি দিয়েই থেমে থাকেননি ইন্দ্রাণী। একই সঙ্গে তিনি বিশেষ সিবিআই আদালতেও শিনাকে খুঁজে দেখার আবেদন জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে শিনা বোরা হত্যাকাণ্ড গোটা দেশে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। অভিযোগ ওঠে, ২০১২ সালের ২৪ এপ্রিল একটি গাড়ির ভিতর শিনাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল। শিনা ছিলেন ইন্দ্রাণী ও তাঁর সঙ্গী সিদ্ধার্থ দাসের মেয়ে। সে সময়ে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ ওঠে, ইন্দ্রাণী তাঁর প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খান্না ও গাড়িচালক শ্যাম রাইয়ের সাহায্যে মুম্বই থেকে বেশ কিছুটা দূরে রায়গড়ের নির্জন জঙ্গলে শিনার দেহ পুড়িয়ে মাটিতে পুতে দিয়েছিলেন।

ইন্দ্রাণীর এই দাবি যদি সত্যি হয় তাহলে শিনা বোরা হত্যাকাণ্ড ভারতের অপরাধ জগতের ইতিহাসে অন্যতম এক মাইলফলক হয়ে থাকবে। ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের জীবন বরাবরই কিছুটা এলোমেলো। ২০০২ সালে তিনি সঞ্জীবের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে পিটার মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করেছিলেন। সেই সময়ে ইন্দ্রাণী শিনাকে পিটারের কাছে নিজের বোন বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। ২০১৫ সালে অপর একটি মামলায় ইন্দ্রাণীর গাড়িচালক শ্যাম রাইকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। শ্যামকে গ্রেফতারের পরই শিনা খুনের ঘটনাটি সামনে আসে।

সিবিআইয়ের দাবি ছিল, পিটারের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর ছেলে রাহুলের সঙ্গে শিনার সম্পর্কটি মেনে নিতে পারেননি পিটার ও ইন্দ্রাণী। সে কারণেই পিটার ও ইন্দ্রাণী রীতিমতো পরিকল্পনা করে শিনাকে খুন করেন। কিন্তু এই মুহূর্তে ইন্দ্রাণীর দাবি তাঁর মেয়ে শিনা জীবিত আছেন। ইন্দ্রাণীর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে রীতিমতো ধন্দে পড়েছেন সিবিআইয়ের দুঁদে গোয়েন্দারা।