রাস্তা আটকে ইভটিজিং! গেরুয়া রাজ্যে মুসলিম যুবককে বেল্ট ট্রিটমেন্ট

indore-eve-teasing-mohd-iqbal-belt-treatment

ইন্দোর: মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে দিনদুপুরে ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। এক মুসলিম যুবক রাস্তা আটকে হিন্দু মহিলাদের ইভটিজিং করছিল। সঙ্গে অশ্লীল মন্তব্য। হঠাৎ ই স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন যুবকের উপর। ঘটনার ভিডিও মুহূর্তেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, যেখানে দেখা যায় অভিযুক্তকে স্থানীয়রা ধরে বেল্ট দিয়ে মারছে। পরে পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে।

Advertisements

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম মোহাম্মদ ইকবাল। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের একটি কোচিং সেন্টারের সামনে দিয়ে এক তরুণী বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, ইকবাল তাঁর পথ আটকায়, অশালীন মন্তব্য করে এবং হাত ধরার চেষ্টা করে। তরুণী প্রতিবাদ করলে ইকবাল উলটে তাঁর উপর হামলা চালায়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন ইকবাল প্রায়ই এই ধরণের অভব্য আচরণ করে।

   

এরপরই আশপাশের কয়েকজন স্থানীয় যুবক এগিয়ে এসে অভিযুক্তকে ধরে ফেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, “ছেলেটা মেয়েটিকে খুব বাজে ভাষায় গালাগাল করছিল। যখন মেয়েটি চড় মারল, তখনই সে উলটে ওকে ঠেলতে শুরু করে।

ভিনগ্রহী মহাকাশযান নাকি ধূমকেতু? রহস্যময় 3I ATLAS সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং

আমরা তখনই ওকে ধরে ফেলি।” রাগে ফেটে পড়ে স্থানীয় জনতা। কয়েকজন যুবক ইকবালকে বেল্ট দিয়ে পেটাতে থাকে। পুলিশ পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।

Advertisements

ইন্দোরের এসপি (সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ) জানিয়েছেন, “অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নারী সুরক্ষা আইনের অধীনে এবং শান্তিভঙ্গের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে।” ঘটনায় শহরজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন, আবার কেউ কেউ বলছেন, “এ ধরনের অপরাধীর জন্য আইনগত শাস্তির পাশাপাশি সামাজিক শিক্ষা প্রয়োজন।”

রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে প্রতিক্রিয়ার ঝড়। বিজেপির স্থানীয় সাংসদ বলেন, “নারী অপমানের ঘটনা আমাদের সমাজে কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। ধর্ম, জাতি নয় অপরাধই মুখ্য।” অন্যদিকে বিরোধীরা প্রশাসনকে প্রশ্ন করেছে, “এই ধরনের ঘটনা রুখতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা কোথায়?”

এই ঘটনাকে ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে। বহু মানুষ মহিলার সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন, যিনি নির্ভয়ে অভিযুক্তের মুখোমুখি হয়েছিলেন। অন্যদিকে অনেকেই বলছেন, “এই ধরনের মানসিকতা সমাজের জন্য বিষের মতো।”

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ইকবাল পূর্বেও স্থানীয় মহল্লায় একাধিকবার অশান্তির ঘটনায় যুক্ত ছিল। এবার কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে পারে সে। ইন্দোরের বাসিন্দারা বলছেন, এই ঘটনা শুধু এক মহিলার উপর আক্রমণ নয়, এটি সমাজের নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এনে দিয়েছে।