‘ভারতের সবচেয়ে বড় কূটনীতিক ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ এবং হনুমানজি: বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর

রাহুল গান্ধীর নাম না নিয়েই নিশানা করলেন বিদেশমন্ত্রী S Jaishankar।  ভারতের মাটিতে চানা সৈন্যদের দখল সংক্রান্ত প্রশ্নে তিনি একটি বড় বক্তব্য দিয়েছেন।

Foreign Minister Jaishankar

রাহুল গান্ধীর নাম না নিয়েই নিশানা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।  ভারতের মাটিতে চানা সৈন্যদের দখল সংক্রান্ত প্রশ্নে তিনি একটি বড় বক্তব্য দিয়েছেন। বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘যদি আমরা কোনও ভূমির কথা বলি, তাহলে এই জমিটি ১৯৬২ সালে চিন দখল করেছিল, বিরোধীরা আপনাকে বলবে না, তারা দেখাবে যে গতকাল এটি ঘটেছে।’

পুনেতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ভারতের সবচেয়ে বড় কূটনীতিক ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ ও হনুমান। ভগবান হনুমান মিশনের বাইরে গিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন বহুমুখী কূটনীতিক। শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন কৌশলগত ধৈর্যের এক মহান উদাহরণ। মহাভারতের গল্প যারা নিয়ম ভঙ্গ করে তাদের গল্প। পাণ্ডবদের খ্যাতি কৌরবদের চেয়ে ভালো ছিল।

বিরোধীদের কটাক্ষ করে বড় ধরনের বক্তব্য দিলেন বিদেশমন্ত্রী৷ এস জয়শঙ্কর কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং চিনা রাষ্ট্রদূতের মধ্যে কথিত যোগাযোগের বিষয়েও মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার চিন্তাভাবনার ঘাটতি থাকলে আমি আমার সেনাবাহিনী বা গোয়েন্দাদের সঙ্গে কথা বলব। আমি চিনা রাষ্ট্রদূতকে ফোন করে আমার খবর চাই না।

অস্ট্রিয়া সফর নিয়ে বড় বিবৃতি দিলেন বিদেশমন্ত্রী
অস্ট্রিয়া সফরের সময় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর পাকিস্তানকে আক্রমণ করার সময় বলেছিলেন যে সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল ভারতের খুব কাছাকাছি। যে দেশ মুম্বাই শহরে হামলা চালায় পাকিস্তান সেই একই দেশ। হোটেল ও বিদেশি পর্যটকদের ওপর হামলা চালায়। প্রতিদিন সীমান্তে জঙ্গি পাঠায়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান উপস্থাপন করে তিনি বলেছেন, আমি চাইলে এই সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থলের চেয়েও কঠোর শব্দ ব্যবহার করতে পারতাম। আমাদের সাথে যা ঘটছে তা মাথায় রেখে এপিসেন্টার একটি খুব কূটনৈতিক শব্দ।

প্রাক্তন মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মাইক পম্পেও তার ‘নেভার গিভ অ্যান ইঞ্চি: ফাইটিং ফর দ্য আমেরিকা আই লাভ’ বইয়ে ভারতের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে নিয়ে ভুল মন্তব্য করেছেন। এর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর জানান, তিনি বইটিতে অবমাননাকর শব্দগুলির তীব্র নিন্দা করেন। যদিও এই বইয়ে জয়শঙ্করের অনেক প্রশংসা করা হয়েছে।