৩টি শক্তিশালী সাবমেরিন তৈরি করতে চলেছে ভারত

Kalvari Class Submarines: ভারত তার নৌবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধির জন্য তিনটি কালভারি ক্লাস (স্কর্পিন) সাবমেরিন তৈরির জন্য মাজাগন ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেডের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করবে।…

submarine

Kalvari Class Submarines: ভারত তার নৌবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধির জন্য তিনটি কালভারি ক্লাস (স্কর্পিন) সাবমেরিন তৈরির জন্য মাজাগন ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেডের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করবে। এই চুক্তির মূল্য ৩৮,০০০ কোটি টাকা হতে পারে। ফ্রান্সের নৌবাহিনীর সহায়তায় নির্মিত এই সাবমেরিনগুলি আধুনিক প্রযুক্তি এবং দেশীয় এয়ার ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রোপালশন (AIP) সিস্টেমে সজ্জিত থাকবে। আশা করা হচ্ছে যে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রথম সাবমেরিনটি সরবরাহ করা হতে পারে।

ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি শীঘ্রই বৃদ্ধি পেতে পারে। তিনটি কালভারি-শ্রেণীর (স্কর্পিন) সাবমেরিন নির্মাণের জন্য মাজাগন ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেড (এমডিএল) এর সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে চলেছে। যদি ভারতীয় নৌবাহিনী এই তিনটি সাবমেরিন পায়, তাহলে শত্রুর জন্য একটি বড় সমস্যা তৈরি হবে। ভারতের নৌশক্তি অসাধারণভাবে বৃদ্ধি পাবে।

   

IDRW রিপোর্টে বলা হয়েছে যে MDL-এর সাথে এই চুক্তির আনুমানিক খরচ প্রায় 38,000 কোটি টাকা অর্থাৎ প্রায় 4.5 বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ফ্রান্সের নৌবাহিনীর সহায়তায় ভারত এই নতুন সাবমেরিনগুলি প্রস্তুত করবে। এগুলো আধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত হবে।

বলা হচ্ছে যে এই সাবমেরিনটি দেশীয় এয়ার ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রোপালশন (AIP) সিস্টেম দিয়ে সজ্জিত হবে। যদি এটি ঘটে, তাহলে নতুন কালভারি শ্রেণীর সাবমেরিনগুলি তাদের পূর্ববর্তী সাবমেরিনগুলির তুলনায় আরও শক্তিশালী হবে। কালভারি ক্লাস সাবমেরিনগুলি ফ্রান্সের স্করপিন ডিজাইনের উপর ভিত্তি করে তৈরি।

Advertisements

এমডিএল জানিয়েছে যে চুক্তি স্বাক্ষরের ৬ বছরের মধ্যে প্রথম সাবমেরিনটি ভারতে হস্তান্তর করা হবে। ১৮ মাস পর এর কাজ শুরু হবে। এমন পরিস্থিতিতে, আশা করা হচ্ছে যে প্রথম সাবমেরিনটি ২০৩০ সালের মধ্যে চালু করা যেতে পারে।

১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় কালভারি শ্রেণীর একটি সাবমেরিন করাচি বন্দর ধ্বংস করেছিল। ৫৪ বছর আগের এই ঘটনাটি আজও ভোলেনি পাকিস্তান। তখন এই অপারেশনের নামকরণ করা হয় ‘ট্রাইডেন্ট’।