রাজনাথের দৃপ্ত হাসি, তিন বাহিনীর আত্মবিশ্বাসে স্পষ্ট— পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ভারত

পাকিস্তানের রাতভর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঠিক পরদিন, নয়াদিল্লিতে এক উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠকে মিলিত হলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল…

Indian defense meeting

পাকিস্তানের রাতভর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঠিক পরদিন, নয়াদিল্লিতে এক উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠকে মিলিত হলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান, সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং এবং নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল দিনেশ কে ত্রিপাঠি।

তবে যা চোখে পড়ার মতো ছিল, তা হলো এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেও বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের শান্ত, আত্মবিশ্বাসী এবং দৃঢ় ভঙ্গি — এমনকি হাস্যোজ্জ্বল মুখেও দেখা গেল তাঁদের। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই ছবির বার্তা ছিল একেবারে স্পষ্ট: ভারত নিরাপদ, নেতৃত্ব সজাগ, উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই।

   

রাতভর আক্রমণ, দিনভর প্রস্তুতি

৮ মে রাত থেকে ৯ মে ভোর পর্যন্ত পাকিস্তান ভারতের পশ্চিম সীমান্তে একের পর এক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি ছিল “লোইটারিং মিউনিশন”-এর অংশ, যার লক্ষ্য ছিল ভারতের সামরিক পরিকাঠামো দুর্বল করা। কিন্তু ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী দ্রুত ও সুসংহত প্রতিরক্ষা কৌশলের মাধ্যমে সেই হামলা প্রতিহত করে।

ভারতের বহুস্তরীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম — যার মধ্যে রয়েছে ইন্টারসেপ্টর মিসাইল, রাডার সিস্টেম, থিয়েটার কমান্ড, ও C-UAS (Counter Unmanned Aircraft Systems) — সক্রিয় হয়ে ৫০টিরও বেশি ড্রোন ধ্বংস করে দেয়। পাশাপাশি ১৫টি কৌশলগত সামরিক স্থাপনা সুরক্ষিত রাখা হয়।

‘অপারেশন সিঁদুরে’র জবাবে পাকিস্তানের আগ্রাসন Indian defense meeting

পাকিস্তানের এই হামলা এসেছিল একদিন আগেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে। ওই অভিযানে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তান এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK) থাকা ৯টি সন্ত্রাসবাদী লঞ্চপ্যাডে নিখুঁত এয়ারস্ট্রাইক চালায়। এই অভিযান ছিল ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যুত্তর, যে হামলায় দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল।

ভারতের প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিরক্ষা ব্যুহ

ভারতের পাল্টা প্রতিরক্ষা শুধু কৌশলীই নয়, প্রযুক্তিগতভাবে ছিল অত্যন্ত উন্নত। পেচোরা মিসাইল, SAMAR সিস্টেম, এয়ার ডিফেন্স গান-এর মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভারতীয় বাহিনী মাঝ আকাশেই একের পর এক হুমকি নষ্ট করে দেয়। এসবের সফল প্রয়োগ আবারও প্রমাণ করে, প্রতিরক্ষা কৌশলে ভারত শুধু প্রস্তুত নয়, প্রয়োজনে আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম।

প্রতিরক্ষামন্ত্রীর হুঙ্কার নেই, শান্ত দৃঢ়তা — এটিই ভারতের বার্তা

সামরিক ও কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এবং তিন বাহিনীর প্রধানদের আত্মবিশ্বাসী উপস্থিতি ছিল একটি কৌশলগত বার্তা। এটি দেখিয়েছে, ভারতীয় নেতৃত্ব উত্তেজনা ছড়াতে নয়, স্থিরভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত। দেশবাসীকে বার্তা দেওয়া হয়েছে: “সীমান্তে উত্তেজনা থাকলেও, ভারতের নিরাপত্তা অটুট। সেনা ও প্রযুক্তির ওপর ভরসা রাখুন।”

এই পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মত, পাকিস্তানের তরফে এই আগ্রাসন একটি ‘তাত্ত্বিক প্রতিক্রিয়া’ হলেও, ভারতের পাল্টা অবস্থান পুরোপুরি কৌশলগত, সুচিন্তিত এবং নিখুঁতভাবে পরিকল্পিত।

 Bharat: Indian defense minister Rajnath Singh meets top military chiefs after Pakistan’s drone and missile attacks. Calm demeanor signals India’s readiness and security. Focus on defense strategy and technology.

Advertisements