Prachand: ভারতীয় সেনাবাহিনী স্বনির্ভর ভারত অভিযানের সাথে সম্পর্কিত একটি নতুন কৃতিত্ব অর্জন করেছে। প্রকৃতপক্ষে, দেশীয়ভাবে নির্মিত ‘প্রচন্ড’ (Prachand) হালকা যুদ্ধ হেলিকপ্টার প্রচণ্ড উচ্চ উচ্চতায় সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। এই পরীক্ষা ভারতের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ অভিযানের অধীনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক এবং দেখায় যে ভারত স্বনির্ভর হওয়ার দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
In a historic milestone, the Indian Army’s #Prachand #LightCombatHelicopter successfully conducted high-altitude firing. Designed for precision in extreme terrains, Prachand’s performance reinforces India’s capability in high-altitude operations. This… pic.twitter.com/bomgJbmC2v
— Gajraj Corps (@GajrajCorps_IA) November 12, 2024
প্রচণ্ডে বিশেষ কী আছে?
প্রচন্ড একটি অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার যা দুর্গম পাহাড়ি এলাকায়ও সহজেই উড়তে পারে এবং শত্রুদের নির্মূল করতে পারে। এটি 5000 মিটার উচ্চতায়ও অস্ত্র ও জ্বালানি নিয়ে উড়তে সক্ষম। হেলিকপ্টারটিতে অনেক রাডার ফাঁকি দেওয়ার বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং শত্রু রাডার এড়াতে এটি বিশেষ সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত।
প্রচন্ড একটি টুইন ইঞ্জিনের হেলিকপ্টার যার ওজন 5.8 টন। হালকা ওজনের কারণে, এটি উচ্চ উচ্চতায় নির্মিত বাঙ্কারগুলি ধ্বংস করতে খুব কার্যকর। প্রচন্ড এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল, 20 মিমি টারেট গান, রকেট সিস্টেম এবং অন্যান্য প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে সজ্জিত। এটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে চিনের ড্রোনকে আঘাত করতে পারে এবং আকাশ থেকে মাটিতে তার ট্যাংক ধ্বংস করতে পারে।
কেন এই প্রয়োজন ছিল?
1999 সালে কার্গিল যুদ্ধের সময়, ভারত বুঝতে পেরেছিল যে তার একটি হালকা যুদ্ধ হেলিকপ্টার দরকার। একটি হেলিকপ্টার যেটি উচ্চ উচ্চতার এলাকায়ও ভালো পারফর্ম করতে পারে। এই চাহিদা পূরণে তৈরি করা হয়েছে ‘প্রচন্ড’ হেলিকপ্টার। সরকার 2006 সালে এই প্রকল্প অনুমোদন করে। এখন এর পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কার্গিল যুদ্ধের সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে উচ্চ উচ্চতায় যুদ্ধ করতে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তখন থেকে একটি হেলিকপ্টারের অভাব ছিল যা সেনাবাহিনীকে কঠিন পরিস্থিতিতেও সাহায্য করতে পারে। এই শূন্যস্থান পূরণ করবে ‘প্রচন্ড’ হেলিকপ্টার।