Indian Army TATA light tank: ভারতীয় সেনাবাহিনীর যুদ্ধ ক্ষমতা এক নতুন মাত্রা পেতে চলেছে। প্রকৃতপক্ষে, ভারতের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস লিমিটেড ডিআরডিও-র নকশার উপর ভিত্তি করে একটি দেশীয় হালকা ট্যাঙ্ক তৈরির কাজ শুরু করেছে। এই ট্যাঙ্কের প্রোটোটাইপ এই বছরের শেষ নাগাদ প্রস্তুত হওয়ার আশা করা হচ্ছে, যার পরে এর পরীক্ষা শুরু হবে। এই উন্নয়ন এমন এক সময়ে করা হয়েছে যখন ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাহাড়ি এবং উচ্চ-উচ্চতা এলাকায়, বিশেষ করে পূর্ব লাদাখের মতো সীমান্তবর্তী এলাকায় হালকা ট্যাঙ্কের তীব্র প্রয়োজন।
এই ‘দেশি’ লাইট ট্যাঙ্কের বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী?
ভারতীয় সেনাবাহিনীর চাহিদার কথা মাথায় রেখে টাটা এই লাইট ট্যাঙ্কটি তৈরি করছে এবং এর বৈশিষ্ট্যগুলি এটিকে যুদ্ধক্ষেত্রে বহুমুখী অস্ত্র হিসেবে গড়ে তোলে। প্রতিরক্ষা রিপোর্ট অনুসারে, এই ট্যাঙ্কটির ওজন প্রায় ২৫ টন হবে। কম ওজনের কারণে, এটি উঁচু পাহাড়ি অঞ্চলে খুব দ্রুত চলতে পারে এবং সহজেই কঠিন রাস্তা অতিক্রম করতে পারে। এটি এর সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব, কারণ এই ধরনের এলাকায় ভারী ট্যাঙ্ক পরিবহন করা খুব কঠিন।
শুধু তাই নয়, এই ট্যাঙ্কের ওজন কম থাকার কারণে এটিকে C-17 Globemaster এবং C-130J Super Hercules-এর মতো সামরিক পরিবহন বিমানের মাধ্যমে সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পরিবহন করা সম্ভব হবে। এর অর্থ হল, প্রয়োজনে সেনাবাহিনী খুব দ্রুত সীমান্তবর্তী এলাকায় এটি মোতায়েন করতে পারবে।
এছাড়াও, হালকা ওজনের হলেও, এই ট্যাঙ্কটিতে একটি শক্তিশালী ১০৫ মিমি বন্দুক থাকবে, যা শত্রুর ট্যাঙ্ক এবং লক্ষ্যবস্তু সহজেই ধ্বংস করতে সক্ষম। এর পাশাপাশি, এটি আধুনিক সেন্সর এবং অগ্নি-নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও সজ্জিত থাকবে।
চিনকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানানোর প্রস্তুতি
ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষের পর এই প্রকল্পটি শুরু হয়েছে। চিন পূর্ব লাদাখে তার হালকা ট্যাঙ্কও মোতায়েন করেছিল, যার কারণে ভারতীয় সেনাবাহিনীও একই ধরণের অস্ত্রের প্রয়োজন অনুভব করেছিল।
এখন এই দেশীয় হালকা ট্যাঙ্কটি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে চিনের যেকোনো চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে আরও প্রস্তুত করে তুলবে। এটি কেবল সেনাবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি করবে না, বরং এটিও প্রমাণ করবে যে ভারত তার প্রতিরক্ষা প্রয়োজনের জন্য আর অন্য কোনও দেশের উপর নির্ভরশীল নয়।
একই সাথে, বছরের শেষ নাগাদ আসা এই ট্যাঙ্কের প্রোটোটাইপ ভারতের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে একটি মাইলফলক হিসেবে প্রমাণিত হবে এবং এটি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ভবিষ্যতের যুদ্ধের জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত করবে।