Indian Army artillery modernisation: ভারতীয় সেনাবাহিনী শীঘ্রই এমন বন্দুক দিয়ে সজ্জিত হতে চলেছে, যা সীমান্তে যুদ্ধশক্তি বহুগুণ বৃদ্ধি করবে। প্রকৃতপক্ষে, প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (DRDO) একটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান, আর্মামেন্ট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এস্টাবলিশমেন্ট (ARDE) একটি অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। এই পরিকল্পনার লক্ষ্য হল ভারতীয় সেনাবাহিনীর কামানকে আধুনিক এবং হালকা করে তোলা, যাতে হিমালয়ের মতো দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলেও শত্রুকে উপযুক্ত জবাব দিতে পারে।
সেনাবাহিনীর জন্য হালকা ওজনের কামান থাকা কেন প্রয়োজন?
ভারতীয় সেনাবাহিনীর দীর্ঘদিন ধরেই এমন কামানের প্রয়োজন ছিল যা সহজেই এবং দ্রুত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পরিবহন করা যায়। উঁচু পাহাড়ি এলাকা, ঘন বন এবং মরুভূমিতে ভারী কামান পরিবহন করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই সমস্যা সমাধানের জন্য, ARDE অ্যাডভান্সড লাইট টাউড গান সিস্টেম (ALTGS) তৈরি করেছে, যা ভারতের স্বদেশী অ্যাডভান্সড টাউড আর্টিলারি গান সিস্টেম (ATAGS) এর একটি হালকা সংস্করণ।
ATAGS এর ওজন প্রায় ১৮ টন হলেও, ALTGS এর ওজন মাত্র ১৫ টন। ৩ টন এই হ্রাস এটিকে সহজেই আকাশপথে উচ্চ উচ্চতায় পরিবহন করতে সাহায্য করে, এমনকি C-130J এর মতো বিমানের মাধ্যমেও। এই ALTGS এর প্রযুক্তি এখন একটি নতুন, হালকা মাউন্টেড বন্দুক ব্যবস্থা তৈরিতে ব্যবহার করা হবে।
নতুন মাউন্টেড গান সিস্টেম
ARDE-এর মতে, এই নতুন মাউন্টেড গান সিস্টেমের ওজন ঐতিহ্যবাহী MGS-এর মতো ৪৫ টন হবে না, বরং এর ওজন হবে মাত্র ২৫ থেকে ২৬ টন। ওজন কমানোর ফলে এটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য অত্যন্ত উপকারী হবে কারণ এটি সহজেই ট্রাকে বোঝাই করে শত্রুর কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে এবং বিমানের মাধ্যমে দূরবর্তী সীমান্তে পরিবহন করাও সহজ হবে।
নতুন মাউন্টেড বন্দুক ব্যবস্থার বিশেষত্ব
এই নতুন বন্দুকের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল এটি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই যুদ্ধের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করবে। এছাড়াও, এটি শত্রুকে আক্রমণ করার সাথে সাথেই তার স্থান থেকে সরে যেতে পারে, যা শত্রুর পাল্টা আক্রমণ থেকে রক্ষা করবে। শুধু তাই নয়, এতে একটি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক সার্ভো ড্রাইভ সিস্টেম থাকবে, যা এর কার্যক্রমকে সহজ এবং দ্রুততর করবে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য এই বন্দুকটি কেন গুরুত্বপূর্ণ?
এআরডিই-র এই উদ্যোগ ভারতের আত্মনির্ভর ভারতের অভিযানে বিরাট সাফল্য বয়ে আনবে। এছাড়াও, এটি ভারতের প্রতিরক্ষা প্রস্তুতিকে আধুনিকীকরণ করবে এবং বিদেশী অস্ত্রের উপর আমাদের নির্ভরতা কমাবে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ফিল্ড আর্টিলারি রেশনালাইজেশন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে, এই নতুন বন্দুকগুলি ২০৩০ সালের মধ্যে সেনাবাহিনীর বহরে অন্তর্ভুক্ত করা ৩,০০০ আধুনিক বন্দুকের অংশ হবে।