বাড়ছে যুদ্ধের আশঙ্কা! তিন বাহিনীর সমন্বয়ে থিয়েটারাইজ়েশনের পদক্ষেপ সেনার

ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর (Indian Army) তিন শাখার (স্থলসেনা, নৌসেনা, বায়ুসেনা) মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি এবং সহযোগিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।…

Indian Army is introducing theatre command for better coordination during warlike situation

ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর (Indian Army) তিন শাখার (স্থলসেনা, নৌসেনা, বায়ুসেনা) মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি এবং সহযোগিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সম্প্রতি, একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর তিনটি শাখার প্রধানদের জন্য ‘এইড-ডি-ক্যাম্প’ বা ব্যক্তিগত স্টাফ অফিসার নিয়োগ করা হবে তাদের ‘সিস্টার সার্ভিস’ থেকে। এর মাধ্যমে প্রতিটি শাখার মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা আরও মজবুত হবে, যা ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে আরও কার্যকর এবং শক্তিশালী করে তুলবে। 

পাকিস্তান নিরাপত্তা পরিষদে, ভারতের স্থায়ী সদস্য পদ বিরোধিতা করবে

   

এটি ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ, যেখানে ‘থিয়েটারাইজেশন’ বা সশস্ত্র বাহিনীর যৌথ পদক্ষেপকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হল, তিন বাহিনীর মধ্যে একত্রিত কাজের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা, যাতে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দ্রুত এবং সুসংগত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়। এ ধরনের পদক্ষেপ ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর যৌথ অপারেশন ক্ষমতা উন্নত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

বর্তমানে, প্রতিটি বাহিনীর প্রধানদের নিজস্ব ‘এইড-ডি-ক্যাম্প’ বা ব্যক্তিগত স্টাফ অফিসার থাকে। তবে, নতুন পদ্ধতিতে, স্থলসেনার প্রধান (যিনি সাধারণত জেনারেল পদমর্যাদার আধিকারিক) তাঁর ‘এইড-ডি-ক্যাম্প’ পাবেন নৌসেনা বা বায়ুসেনা থেকে। এর ফলে, এক বাহিনীর সদস্য অন্য বাহিনীতে কাজ করার সুযোগ পাবেন, যা তাদের মধ্যে আন্তঃবাহিনী সমন্বয় এবং বোঝাপড়া আরও উন্নত করবে।

এটি একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন, যা ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর শাখাগুলোর মধ্যে সম্পর্ক এবং কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এই ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ এবং পরস্পর সমন্বয় আরও মজবুত হবে। এর ফলে, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রতিটি বাহিনী দ্রুত ও সঠিকভাবে একে অপরের সঙ্গে কাজ করতে পারবে। 

নিউ ইয়ারে রক্তাক্ত আমেরিকা, উৎসবমুখর জনতাকে পিষে গুলি ছুড়ল চালক, মৃত অন্তত ১০

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ইতোমধ্যেই সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার যৌথ পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছিলেন। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী আরও শক্তিশালী ও সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারবে, যা দেশের নিরাপত্তা ও সামরিক প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিন বাহিনীর মধ্যে এই ধরনের সমন্বয় অনেক ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে সফলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে, বিশেষ করে বৃহৎ সামরিক মহড়ায়। তবে, এবার এটি নিয়মিত পদ্ধতিতে বাস্তবায়িত হলে, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি শাখার মধ্যে সহযোগিতা এবং সমন্বয়ের ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

Bangladesh: রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশি সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণর জামিন নামঞ্জুর

এছাড়া, এই পদক্ষেপের ফলে সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে একধরনের পেশাদারিত্বের বৃদ্ধি ঘটবে, যা ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়ক হবে। বিশেষ করে সাইবার যুদ্ধ, আকাশীয় যুদ্ধ এবং নৌযুদ্ধের ক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি শাখা একত্রিতভাবে কাজ করলে, দেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আরও শক্তিশালী হবে।

এটা পরিষ্কার যে, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এখন আর আলাদা শাখায় বিভক্ত নেই, বরং একটি সংহত ও সমন্বিত শক্তি হিসেবে বিশ্বের সামনে দাঁড়ানোর জন্য প্রস্তুত।