রাজস্থানে ভারতীয় সেনার হাই-টেক যুদ্ধ মহড়া ‘এক্সারসাইজ মরু জ্বালা’

Indian Army

জয়পুর, ৪ অক্টোবর: ভারত ক্রমাগত তার সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে। দেশের তিন সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা চলছে। এর পাশাপাশি শত্রু দেশগুলির মোকাবিলায় সামরিক মহড়াও পরিচালিত হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) সুদর্শন চক্র কর্পসের আওতাধীন শাহবাজ ডিভিশন ‘এক্সারসাইজ মরু জ্বালা’ (Exercise Maru Jwala) নামে একটি বৃহৎ পরিসরের যুদ্ধ মহড়া শুরু করেছে।

Advertisements

জানা গেছে, রাজস্থানের থর মরুভূমিতে (Thar Desert, Rajasthan) এই মহড়াটি পরিচালিত হচ্ছে। এটি চলমান ত্রি-সেবা মহড়া ত্রিশুলের (Exercise Trishul) একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মহড়া মরু জ্বালা রাজস্থানের মরুভূমি অঞ্চলে পরিচালিত একটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) মহড়া। এই মহড়ার প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল মরুভূমির পরিবেশে সেনাবাহিনীর যুদ্ধক্ষমতা এবং যুদ্ধ প্রস্তুতি মূল্যায়ন করা।

   

এই মহড়ার মূল উদ্দেশ্য এই উচ্চ-তীব্রতা অনুশীলনের লক্ষ্য হল স্থল, আকাশ এবং সামুদ্রিক ক্ষেত্রের পাশাপাশি ডিজিটাল ক্ষেত্রেও অপারেশনাল সিনার্জি (Operational Synergy) পরীক্ষা করা। এই মহড়ার মূল লক্ষ্য হল নতুন প্রযুক্তি এবং আধুনিক যুদ্ধ ব্যবস্থা ব্যবহারের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান সক্ষমতা জোরদার করা। বিভিন্ন সেনা ইউনিটের সৈন্য এবং সামরিক সরঞ্জাম এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করে।

Indian Army

অত্যাধুনিক ডিজিটাল সেন্সর নেটওয়ার্কের ব্যবহার

Advertisements

‘মরু জ্বালা’ মহড়ার সময় মানববিহীন প্ল্যাটফর্ম, নেটওয়ার্ক-ভিত্তিক ফায়ারিং সিস্টেম এবং অত্যাধুনিক ডিজিটাল সেন্সর নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতিতে রিয়েল-টাইম নজরদারি এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া সম্ভব হয়। সেনাবাহিনীর সদস্যরা সবচেয়ে কঠিন মরুভূমিতে মহড়া পরিচালনা করছেন।

থর মরুভূমির জ্বলন্ত বালিতে পরিচালিত এই মহড়াটি “২০২৫: সংস্কার এবং প্রযুক্তিগত স্বনির্ভরতার বছর” থিমের সাথে যুক্ত। এই মহড়া আধুনিকীকরণ, স্বনির্ভরতা এবং যৌথ অভিযানের প্রতি ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে। এই মহড়া সেনাবাহিনীকে মরুভূমিতে কার্যকরভাবে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত করে এবং তাদের কৌশল পরীক্ষা করতে সাহায্য করে।

থরের জ্বলন্ত বালিতে চলমান এই মহড়াটি প্রমাণ করে যে ভারতীয় সেনাবাহিনী এখন কেবল প্রচলিত যুদ্ধের জন্যই নয়, ভবিষ্যতের বহু-ক্ষেত্রের যুদ্ধক্ষেত্রের জন্যও সম্পূর্ণ প্রস্তুত, যেখানে প্রযুক্তি, কৌশলগত দক্ষতা এবং উদ্যম আধুনিক ভারতীয় সেনাবাহিনীর নতুন পরিচয় গঠনের জন্য একত্রিত হচ্ছে।