Army Chief: ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী ২০ নভেম্বর থেকে চার দিনের নেপাল সফরে যাবেন। এই সময়ে তিনি বিখ্যাত মুক্তিনাথ মন্দিরও পরিদর্শন করবেন, যেখানে তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রথম সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াতকে শ্রদ্ধা জানাবেন। এই মন্দিরটি নেপালের মুস্তাং জেলায় অবস্থিত এবং হিন্দু ও বৌদ্ধ উভয় ধর্মের জন্যই বিশেষ ধর্মীয় গুরুত্ব বহন করে।
2021 সালে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় জেনারেল বিপিন রাওয়াতের মৃত্যুর পরে, 2023 সালে তাঁর সম্মানে একটি লতা রোপণ করা হয়েছিল। এই ঘণ্টার (bell) উদ্বোধনে ভারতীয় সেনাবাহিনীর চার প্রাক্তন প্রধান জেনারেল বিশনাথ শর্মা, জেনারেল জে জে সিং, জেনারেল দীপক কাপুর এবং জেনারেল দলবীর সিং সুহাগ উপস্থিত ছিলেন।
দুই দেশের মধ্যে প্রতীক
এই মন্দিরটিকে ভারতীয় ও নেপালি সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্পর্কের প্রতীক হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। নেপালি সেনাবাহিনীর 260তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ঘণ্টাটি স্থাপিত হয়েছিল। এই লতাটিকে ভারত ও নেপালের সম্পর্কের প্রতীক হিসেবেও দেখা হয়। কারণ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে বিপুল সংখ্যক গোর্খা সেনা কাজ করে। দুই দেশের মধ্যে একে অপরের সেনাপ্রধানদের সম্মানসূচক উপাধি দেওয়ার রীতি রয়েছে। এই সফরে জেনারেল দ্বিবেদীকে নেপালি সেনাবাহিনীর সম্মানসূচক উপাধিতে ভূষিত করা হবে।
দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতির প্রত্যাশা
জেনারেল দ্বিবেদীর এই সফরকে দু’দেশের মধ্যে ‘অগ্নিবীর যোজনা’ নিয়ে সমস্যা দূর করার চেষ্টা হিসেবেও দেখা হচ্ছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ‘অগ্নিবীর যোজনা’ বাস্তবায়নের পর, নেপাল সরকার তার নাগরিকদের ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান থেকে বিরত রেখেছিল। যার কারণে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে গোর্খা সেনা নিয়োগে সমস্যা হচ্ছে। এর কারণে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে, বিশেষ করে গোর্খা রেজিমেন্টে প্রায় 12,000 সেনার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। জেনারেল দ্বিবেদীর এই সফরের মাধ্যমে এই সমস্যার একটা সমাধান পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।