নয়াদিল্লি, ২৭ সেপ্টেম্বর: ভারত তার বায়ু প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আরও জোরদার করার জন্য রাশিয়া থেকে অতিরিক্ত 40N6 ক্ষেপণাস্ত্র কেনার পরিকল্পনা করছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি S-400 বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরিপূরক হবে। এই পদক্ষেপ ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি আরও বৃদ্ধি করবে, বিশেষ করে পাকিস্তান এবং চিনের মতো প্রতিবেশী দেশগুলির বায়ু হুমকি মোকাবিলায়।
40N6 Missile: 40N6 ক্ষেপণাস্ত্রটি কেন বিশেষ?
40N6 একটি অতি-দীর্ঘ-পাল্লার ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র (SAM)। এর পাল্লা 400 কিলোমিটার পর্যন্ত। এটি শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান, ড্রোন, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, এমনকি হাইপারসনিক অস্ত্রও ধ্বংস করতে পারে। এটি একটি সক্রিয় রাডার হোমিং সিস্টেম দিয়ে সজ্জিত, যা এটিকে অত্যন্ত নির্ভুলতার সাথে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে দেয়।
40N6 Missile: অপারেশন সিঁদুর তার শক্তি প্রদর্শন করেছে
২০২৫ সালের মে মাসে পাকিস্তানের সাথে উত্তেজনার সময় এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ইতিহাস তৈরি করেছিল। সূত্রের খবর, ভারতীয় বায়ুসেনা ৪০এন৬ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ৩১৪ কিলোমিটার দূর থেকে পাকিস্তান বায়ুসেনার একটি সাব এরি-২০০০ এইডব্লিউ অ্যান্ড সি (রাডার বিমান) ধ্বংস করে। এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল। এই আক্রমণ পাকিস্তানের বিমান নজরদারি ব্যবস্থাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করে।
যদিও পাকিস্তান এই দাবি অস্বীকার করে বলেছে যে স্থল আক্রমণে তাদের বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ভারতীয় বিমান বাহিনী এবং রাশিয়ান প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা প্রকাশ্যে ক্ষেপণাস্ত্রের শক্তির প্রশংসা করেছেন।
40N6 Missile: কেন আরও ক্ষেপণাস্ত্র অর্জন করা প্রয়োজন?
ভারত ২০১৮ সালে রাশিয়ার কাছ থেকে পাঁচটি S-400 ক্ষেপণাস্ত্র কিনেছিল, যার ব্যয় প্রায় ৫.৪৩ বিলিয়ন ডলার। ভারত ইতিমধ্যেই এই সিস্টেমগুলির মধ্যে চারটি পেয়েছে, এবং শেষটি ২০২৬ সালের মধ্যে সরবরাহ করা হবে। ভারত এখন তার সীমান্তে একটি শক্তিশালী নিরাপত্তা ঢাল তৈরি করতে এই সিস্টেমগুলিতে আরও ৪০এন৬ মিসাইল যুক্ত করতে চায়।
বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে অতিরিক্ত 40N6 ক্ষেপণাস্ত্র ভারতীয় বায়ুসেনাকে “এয়ার ডিনাইনাল জোন” তৈরি করতে সাহায্য করবে, যার অর্থ কোনও শত্রু বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্র ভারতীয় সীমান্তের কাছেও যেতে পারবে না।
40N6 Missile: চ্যালেঞ্জগুলিও তুচ্ছ নয়
রাশিয়া থেকে অস্ত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রে মার্কিন CAATSA আইনের অধীনে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতে পারে। তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও পর্যন্ত ভারতকে S-400 চুক্তি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। তাছাড়া, রাশিয়ার বর্তমান উৎপাদন ক্ষমতা এবং বর্ধিত খরচ উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।