S-400 এর মতো বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি ভারতের, সফল ট্রায়াল

Akash NG missile features: অপারেশন সিঁদুরের সময়, যদি কোনও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্দান্ত কাজ করে, তবে তা ছিল S-400। যা কেবল আকাশে পাকিস্তানের ঘৃণ্য ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণকেই…

Akash-NG

Akash NG missile features: অপারেশন সিঁদুরের সময়, যদি কোনও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্দান্ত কাজ করে, তবে তা ছিল S-400। যা কেবল আকাশে পাকিস্তানের ঘৃণ্য ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণকেই ধ্বংস করে দেয়নি। আসলে, এটি ৩১৪ কিলোমিটার দূর থেকে শত্রুর সবচেয়ে দামি বিমানকেও ধ্বংস করেছে। এমন পরিস্থিতিতে, ভবিষ্যতের যুদ্ধের কথা মাথায় রেখে, ভারত নিজস্ব উন্নত বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করেছে। যা পাল্লার দিক থেকে S-400 এর চেয়ে কম হতে পারে কিন্তু শক্তির দিক থেকে মোটেও কম নয়। এটি আর কেউ নয়, ডিআরডিও দ্বারা তৈরি অত্যাধুনিক ‘আকাশ-এনজি’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। এর সফল পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, আসুন এর বিশেষত্বগুলি জেনে নেওয়া যাক।

আকাশ-এনজি মিসাইল সিস্টেম কি?
আকাশ-এনজি একটি সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম। এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান, ক্রুজ মিসাইল এবং ড্রোনের মতো বায়ু হামলা আকাশেই ধ্বংস করা। যা দেশের নিরাপত্তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

   

এটি একটি মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, যা ৭০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত যেকোনো শত্রুর বায়ু আক্রমণকে প্রতিহত করতে পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি সম্পূর্ণরূপে ভারতে তৈরি।

আকাশ-এনজি ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষ বৈশিষ্ট্য কী কী?
আকাশ-এনজি ক্ষেপণাস্ত্রটি অনেক দিক থেকেই পুরনো ‘আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে অনেক ভালো। এর পাল্লা ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে, যাতে এটি আরও দূর থেকে শত্রুকে আক্রমণ করতে পারে।

শুধু তাই নয়, এতে একটি নতুন উন্নত রাডার সিস্টেম AESA স্থাপন করা হয়েছে, যা একসাথে একাধিক লক্ষ্যবস্তু সনাক্ত করতে পারে এবং সঠিকভাবে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে। এই বৈশিষ্ট্যটি S-400 প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাতেও রয়েছে।

Advertisements

একই সাথে, এই ক্ষেপণাস্ত্রটি গতির দিক থেকে খুবই দ্রুত এবং এর লক্ষ্যবস্তু খুবই নির্ভুল। এটি আকাশেই শত্রুর যেকোনো আক্রমণকে ধ্বংস করতে পারে। এছাড়াও, এর নকশা আগের তুলনায় ছোট এবং হালকা, যা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পরিবহন এবং স্থাপন করা অনেক সহজ করে তোলে। যুদ্ধের সময় এটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।

২০০ কিলোমিটার দূর থেকে আঘাত হানবে
আকাশ-এনজির সাফল্যের পর, ডিআরডিও এখন একটি নতুন এবং আরও শক্তিশালী সংস্করণ তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই নতুন সংস্করণের পরিসর ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে, যা এটিকে আরও বিপজ্জনক করে তুলবে।

এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতকে এমন একটি প্রতিরক্ষা ঢাল দেবে যা দূর থেকে শত্রুর বিমান আক্রমণ থামাতে পারে। একই সাথে, এটি অপারেশন সিন্দুরের মতো পরিস্থিতিতে ভারতীয় বিমান বাহিনীকে বিশাল সুবিধা দেবে।