“ক্ষমা চাইবে ভারত! তারপর Trump…”, কি বললেন মার্কিন বাণিজ্য সচিব?

নয়াদিল্লি: “আগামী এক-দুই মাসের মধ্যেই আমেরিকার কাছে ক্ষমা চাইবে ভারত। তারপর মোদীর সঙ্গে বোঝাপড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প!” শুক্রবার এমনটাই ঘোষণা করলেন…

"ক্ষমা চাইবে ভারত! তারপর Trump...", কি বললেন মার্কিন বাণিজ্য সচিব?

নয়াদিল্লি: “আগামী এক-দুই মাসের মধ্যেই আমেরিকার কাছে ক্ষমা চাইবে ভারত। তারপর মোদীর সঙ্গে বোঝাপড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প!” শুক্রবার এমনটাই ঘোষণা করলেন আমেরিকার বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুৎনিক। ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপের মুখে মাসখানেকের মধ্যেই ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চেয়ে চুক্তি করতে বসবে নয়াদিল্লি, শুক্রবার এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে দাবি করেন লুৎনিক।

সেইসঙ্গে রাশিয়ার কাছ থেকে ভারতের তেল কেনাকে সরাসরি “ভুল” এবং “হাস্যকর” বলে উএখ করেন বাণিজ্য সচিব। পাশাপাশি সম্প্রতি তিয়ানজিনের এসসিও সামিটে মোদী-পুতিন-জিনপিং ত্রিপাক্ষিক বৈঠক নিয়ে তাঁর মন্তব্য, “কোন পক্ষে থাকবে ভারতের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ”।

   

বলা বাহুল্য, মোদীর চিন-জাপান সফরের মাঝে একাধিকবার ভারতকে বিঁধেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর শুল্ক হুমকির কাছে মাথা নত না করে বিশ্বের অন্যান্য শক্তিধর দেশের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার দিকেই মনোনিবেশ করেছে নয়াদিল্লি।

এসসিও (SCO) সামিটে বিশ্বের দুই শক্তিধর দেশ রাশিয়া এবং চিনের রাস্ত্রপতিদের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক মূলত ট্রাম্পের চোখরাঙানিরই পাল্টা জবাব ছিল বলে মনে করছেন রাজনীতিকরা। শুক্রবারেই ফের ভারত-চিন-রাশিয়া সম্পর্কে তির্যক মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

Advertisements

নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে মোদী, পুতিন, জিনপিং-এর ছবি পোস্ট করে দেখেন, “মনে হচ্ছে চিনের গভীর খাতে আমরা ভারত এবং রাশিয়াকে হারাতে চলেছি”। অর্থাৎ, ভারত এবং রাশিয়া চিনের প্রভাববলয়ে ঢুকে পড়ছে বলে ইঙ্গিত করতে চান ট্রাম্প।

রাশিয়ার থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার ‘শাস্তি’ বাবদ ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০% আমদানি শুল্ক বসানোর পর ভারত ট্রাম্পের পায়ে লুটিয়ে পড়বে বলে হয়ত ভেবেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার পরিবর্তে, বিশ্বের অন্যান্য প্রায় ৪০ টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন এবং সম্প্রসারণের পাশাপাশি বিশ্বের দুই শক্তিশালী দেশের সঙ্গে মিত্রতা ঝালিয়ে দেখে ভারত।

এসসিও বৈঠকের পরেই যার প্রতিফলন নজরে আসে। “বন্ধুত্বের প্রমাণ” দিয়ে ভারতে পাঠানো অপরিশোধিত তেলের দাম আরও কমানোর ইঙ্গিত দেয় মস্কো। অন্যদিকে, সীমান্ত-সংহতি বজায় রেখে চিনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্ভাবনার কথা আলোচনা করেন নরেন্দ্র মোদী।