রাশিয়া থেকে তেল আমদানির বিষয়ে আমেরিকার খবরদারি মানবে না ভারত

চাহিদার ৮০ শতাংশেরও বেশি পেট্রোপণ্য আমদানি করে থাকে ভারত। রাশিয়া থেকেও ভারত বিপুল পরিমাণ তেল আমদানি করে। কিন্তু মস্কো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করায় রাশিয়ার…

চাহিদার ৮০ শতাংশেরও বেশি পেট্রোপণ্য আমদানি করে থাকে ভারত। রাশিয়া থেকেও ভারত বিপুল পরিমাণ তেল আমদানি করে। কিন্তু মস্কো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করায় রাশিয়ার ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের একাধিক দেশ। সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতের এই ভূমিকায় স্পষ্টতই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আমেরিকা। তার প্রেক্ষিতে ভারত ওয়াশিংটনকে জানাল, তেল আমদানির বিষয়ে আমেরিকার কোনও খবরদারি তারা মানবে না। ভারত নিজের সুবিধামতই তেল আমদানি করবে।

ভারত এদিন আমেরিকাকে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছে, তেল আমদানি নিয়ে তাদের কোনও পরামর্শ নয়াদিল্লি মেনে চলতে বাধ্য নয়। ইউরোপ ও আমেরিকা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর মস্কো ভারতকে বাজার দরের চেয়ে অনেকটাই কম দামে প্রায় ত্রিশ লক্ষ ব্যারেল তেল দেওয়ার কথা জানিয়েছে। চলতি যুদ্ধের আবহে সস্তা দরে তেল কেনার বিষয়ে ভারত দ্বিতীয়বার ভাবেনি। তাই তারা রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ আমেরিকা।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

এরপরই ভারত পাল্টা জানিয়েছে, আমেরিকা ও ইউরোপ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও তারা নিজেরাই রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনছে। তাই তাদের মুখে নিষেধাজ্ঞার কথা বা ভারতকে কোন পরামর্শ দেওয়ার কথা মানায় না। ভারত তাদের প্রয়োজনীয় জ্বালানি কোথা থেকে কিনবে সেটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।

উল্লেখ্য, রাশিয়ার থেকে কম দামে ভারতের অপরিশোধিত তেল কেনার সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে আমেরিকা বলেছে, এই সিদ্ধান্তের জন্য তারা হয়তো ভারতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে না। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারত ইতিহাসের ভুল দিকে হাঁটছে। কারণ রাশিয়াকে কোনওরকম সাহায্য করার অর্থ হল ইউক্রেনের বিরুদ্ধে মস্কোর আগ্রাসনকে স্বীকৃতি দেওয়া। এটা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। কোনওভাবেই এটা সমর্থন করা যায় না।