আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সর্বদল বৈঠক আগামীকাল

ভারত সরকার আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় একটি সর্বদল বৈঠকের (All-Party Meeting) আয়োজন করেছে। এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি ডাকা হয়েছে দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পরিস্থিতি…

India to Hold All-Party Meeting Tomorrow

ভারত সরকার আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় একটি সর্বদল বৈঠকের (All-Party Meeting) আয়োজন করেছে। এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি ডাকা হয়েছে দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সমস্ত বড় রাজনৈতিক দলগুলির মতামত শোনার জন্য। সংসদের আসন্ন অধিবেশন, সীমান্ত পরিস্থিতি, এবং দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরাও উপস্থিত থাকবেন। বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকে, বিজু জনতা দল সহ প্রায় সব বড় দলগুলির শীর্ষ নেতারা অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

   

এই বৈঠককে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। বিশেষত, ভারত-চীন সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনা এবং পাকিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনায় সরকার বিরোধী দলগুলিকে অবহিত করতে চাইছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এছাড়া সম্প্রতি আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের ভূমিকাও আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। আমেরিকা, রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হতে পারে।

কংগ্রেসের তরফ থেকে জানা গেছে, তারা এই বৈঠকে সরকারকে চীনের সঙ্গে চলমান সীমান্ত সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন করবে। কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে এক বিবৃতিতে বলেন, “জনগণকে সত্য জানানো সরকারের দায়িত্ব। আমরা চাই সরকার সংসদের বাইরেও সমস্ত দলের মতামত শুনুক এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখুক।”

অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে, তারা কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি নিয়ে কিছু প্রশ্ন তুলতে চায়। দলের মহাসচিব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা চাই সার্বিক জাতীয় স্বার্থে সবাই একসঙ্গে কাজ করি। তবে কেন্দ্রের মনোভাব যেন দমনমূলক না হয়, সেটাও আমরা নিশ্চিত করতে চাই।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠক সরকারের জন্য একটি সুযোগ হতে পারে বিরোধী শিবিরকে আশ্বস্ত করার এবং একটি সর্বসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলার। বিশেষ করে সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে এই ধরনের বৈঠক রাজনৈতিক সৌজন্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

সব মিলিয়ে, আগামীকালের সর্বদল বৈঠক শুধু একটি নিয়মতান্ত্রিক আলোচনার ফোরাম নয়, বরং এটি বর্তমান রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে ভারতের অবস্থান নির্ধারণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে চলেছে।

Advertisements