Heron Drones: ভারতীয় সেনা, বায়ুসেনা এবং নৌসেনা শীঘ্রই ইজরায়েল থেকে আরও হেরন ড্রোন কিনবে। এই বছরের মে মাসে অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নজরদারি এবং গোয়েন্দা অভিযানে এই ড্রোনগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। বর্তমানে তিনটি সশস্ত্র বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার কাছেই হেরন ড্রোন রয়েছে। নতুন ক্রয়ের মাধ্যমে, তাদের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই হেরন ড্রোনগুলির মধ্যে কিছুকে স্পাইক-এনএলওএস ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর ফলে এই ড্রোনগুলি সরাসরি শত্রু অবস্থানগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করতে সক্ষম হবে।
চিন ও পাকিস্তানের সাথে ভারতের সীমান্তে দূরপাল্লার নজরদারির জন্য হেরন ড্রোন ব্যবহার করা হয়। ভারত সম্প্রতি হেরন এমকে-২ সংস্করণ কিনেছে, যা স্যাটেলাইট যোগাযোগ ব্যবস্থায় সজ্জিত এবং দীর্ঘ দূরত্বে উড়তে পারে।
Heron Drones: আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ড্রোনগুলিকে সজ্জিত করার চেষ্টা চলছে। সশস্ত্র বাহিনীর একটি শাখা হেরনকে স্পাইক-এনএলওএস (নন-লাইন-অফ-সাইট) অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল দিয়ে সজ্জিত করার জন্য কাজ করছে, যা ভবিষ্যতের সংঘাতের সময় শত্রু অবস্থানে আক্রমণ করার ক্ষমতা তাদের দেবে। চিন ও পাকিস্তান উভয় সীমান্তে দীর্ঘ পাল্লার নজরদারির জন্য হেরন ড্রোন ব্যবহার করা হয় এবং এখন পর্যন্ত এটি বেশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
Heron Drones: দেশীয় ড্রোন তৈরির কাজ অব্যাহত রয়েছে
ভারত নিজস্ব দেশীয় MALE ড্রোন তৈরির দিকেও কাজ করছে। সরকার এই উদ্দেশ্যে ৮৭টি ড্রোন কেনার পরিকল্পনা করছে। এই প্রকল্পে HAL, L&T, Solar Industries এবং Adani Defence-এর মতো বড় কোম্পানিগুলি অংশগ্রহণ করবে। এই ড্রোনগুলির মধ্যে কিছু ইজরায়েলের সহযোগিতায় তৈরি করা হতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদে, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ৪০০ টিরও বেশি MALE ড্রোনের প্রয়োজন হবে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে যদি এই ড্রোনগুলি বৃহৎ পরিসরে এবং দেশীয়ভাবে তৈরি করা হয়, তাহলে ভারত ভবিষ্যতে সম্পূর্ণরূপে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।