জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ভারত পাকিস্তানকে একটি চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছে যে, ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Waters Treaty) তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত করা হচ্ছে। এই হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়েছেন, যার সঙ্গে সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদের যোগসূত্রের অভিযোগ উঠেছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, চিঠিতে ভারত স্পষ্টভাবে বলেছে যে, যতক্ষণ না পাকিস্তান সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদের সমর্থন পুরোপুরি বন্ধ না করবে, ততক্ষণ এই চুক্তি স্থগিত থাকবে। সিন্ধু জল চুক্তি পাকিস্তানের কৃষি, পানীয় জল এবং জ্বালানি উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই চুক্তি অনুযায়ী, সিন্ধু, ঝিলাম এবং চেনাব নদীর জল প্রধানত পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দ। চুক্তি স্থগিত হলে পাকিস্তানের অর্থনীতি ও জনজীবনে গভীর প্রভাব পড়তে পারে।
পহেলগাঁওয়ে ২০ এপ্রিল সংঘটিত হামলার দায় স্বীকার করেছে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF), যিনি পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বার একটি শাখা। এই ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (CCS)-এর বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয় পাকিস্তানকে এই চিঠি পাঠিয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।
পাকিস্তান এই সিদ্ধান্তকে “যুদ্ধের কাজ” হিসেবে আখ্যায়িত করে আইনি পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছে। পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে যাবে। এই ঘটনা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি এখন এই সংকটের দিকে।