বেলাগাভিতে শক্তি প্রদর্শনে ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কার সেনা

Indian Army

বেঙ্গালুরু, ১৯ নভেম্বর: ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে যৌথ সামরিক মহড়া “মিত্র শক্তি-একাদশ” (Exercise Mitra Shakti) এর ১১তম সংস্করণ ১০ থেকে ২৩ নভেম্বর কর্ণাটকের বেলাগাভিতে চলছে। এই সামরিক মহড়ার সময় উভয় দেশের সৈন্যরা বিভিন্ন কৌশলে অংশগ্রহণ করছে। এই মহড়ার লক্ষ্য হলো সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে যৌথ সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয় জোরদার করা।

Advertisements

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) যৌথ সামরিক মহড়া মিত্র শক্তি একাদশে ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কার সৈন্যরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছে। প্রথমত, ব্যাটল অবস্ট্যাকল কোর্স পরিচালিত হয়, যেখানে ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কার সৈন্যরা একসাথে তাদের তৎপরতা, শক্তি এবং যুদ্ধ প্রস্তুতি প্রদর্শন করে।

   

সৈন্যরা স্লিদারিং অনুশীলন করে
এর পরে, FIBUA (Fighting in Built-Up Areas), অর্থাৎ শহরাঞ্চলে যুদ্ধের কৌশল সম্পর্কে একটি বক্তৃতা এবং প্রদর্শনী দেওয়া হয়। প্রদর্শনীতে ড্রোন রিকনেসান্স, হালকা বিশেষজ্ঞ যানবাহন এবং সর্ব-ভূখণ্ড যানবাহনের ব্যবহার এবং ঘর-ঘর অনুসন্ধানের জন্য রোবোটিক খচ্চরের মতো উন্নত সরঞ্জাম প্রদর্শন করা হয়েছিল। সৈন্যরা স্লাইডিং অনুশীলনও করেছিল।

আইইডি সম্পর্কে ব্যাপক প্রশিক্ষণ
অবশেষে, আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) সম্পর্কে ব্যাপক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ছিল রুট ক্লিয়ারেন্স, আইইডি সনাক্ত করার পর তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ, চার্জ প্রস্তুত করার প্রক্রিয়া এবং বিস্ফোরক নিরাপদে নিষ্ক্রিয় করার কৌশল (রেন্ডার সেফ প্রসিডিউর)।

Advertisements

মহড়ার উদ্দেশ্য
ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে রাজপুতানা রাইফেলসের একটি ব্যাটালিয়নের কর্মী এবং অন্যান্য দল অংশগ্রহণ করছে, যেখানে শ্রীলঙ্কার পক্ষ থেকে গজাবা রেজিমেন্টের কর্মীরা অংশগ্রহণ করছে। এই মহড়ার লক্ষ্য হলো দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সমন্বয় জোরদার করা, আধুনিক যুদ্ধ কৌশল সম্পর্কে ধারণা অর্জন করা এবং যৌথ অভিযানের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

জঙ্গলে বেঁচে থাকার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সৈন্যরা
এর আগে, সৈন্যরাও জঙ্গলে বেঁচে থাকার প্রশিক্ষণ পেয়েছিল। সাপ ধরার কৌশল, আশ্রয় তৈরি এবং ফাঁদ স্থাপনের মতো দক্ষতা শেখানো হয়। এছাড়াও, মানসিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য LIDO জাম্পের মতো কার্যকলাপ পরিচালনা করা হয়। মিত্র শক্তি ২০২৫ মহড়ায় হেলিকপ্টার ছাড়াও ড্রোন এবং মনুষ্যবিহীন আকাশযান ব্যবস্থাও ব্যবহার করা হয়েছিল। এখানে, উভয় পক্ষই সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সময় হেলিপ্যাডের নিরাপত্তা এবং হতাহতদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য যৌথভাবে মহড়া দেয়।