শেষবার ১৯০১ সালের মার্চ মাসে সবচেয়ে বেশি গরম (warmest) পড়েছিল। কিন্তু ২০২২ সালের মার্চ সেই রেকর্ড ভেঙে দিল। মৌসম ভবন জানিয়েছে, ১২১ বছর পর ২০২২ সালের মার্চ ছিল উষ্ণতম।
চলতি বছরের মার্চ মাসে গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ১.৮৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মৌসম ভবন জানিয়েছিল, ১৯০১ সাল থেকে গত ১২০ বছরের ইতিহাসে ২০২১ সাল ছিল ভারতের উষ্ণতম বছরের নিরিখে পঞ্চম। কিন্তু চলতি বছরের মার্চ সব রেকর্ড ভেঙেচুরে খানখান করে দিল।
বৃষ্টিপাতের ঘাটতির ক্ষেত্রও তৈরি হয়েছে নতুন রেকর্ড। ভারতে মার্চ মাসে সাধারণত গড়ে ৩০.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। কিন্তু চলতি বছরের মার্চ মাসে বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ৮.৯ মিলিমিটার। অর্থাৎ ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ৭১ শতাংশ। এর আগে ১৯০৯ সালের মার্চ মাসে সবচেয়ে কম ৭.২. মিটার বৃষ্টি হয়েছিল। বৃষ্টির নিরিখে ২০২২ সালের মার্চ হল তৃতীয়। ১৯০৮ সালের মার্চ মাসে ৮.৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল।
চলতি পরিস্থিতিতে চাষবাসে বড় মাপের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে প্রবল গরম টের পাওয়া যাচ্ছে। উত্তর ও পশ্চিম ভারতে শুরু হয়ে গিয়েছে তাপপ্রবাহ।
বিশিষ্ট আবহাওয়া বিজ্ঞানী রাজেন্দ্র জেনামানি বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। বাড়ছে তাপপ্রবাহ, ঘূর্ণিঝড়, নিম্নচাপ ও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। আবহাওয়ার মধ্যে একটা খামখেয়ালিপনা দেখা গিয়েছে।
চলতি বছরের মার্চ মাসে পশ্চিম হিমালয়ের পাহাড়ি রাজ্যগুলিতে বেশি তাপমাত্রা দেখা গিয়েছে। দেরাদুন, ধরমশালা, জম্মুর মত ঠান্ডা এলাকায় তাপমাত্রা থেকে ৭-১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত বেশি ছিল। চলতি বছরের মার্চে জম্মুতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছে। অন্যদিকে তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানের মত রাজ্যে যেখানে গরম বেশি থাকে সেখানে এবার মার্চ মাস ছিল তুলনামূলক ঠান্ডা।
আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় একদিকে যেমন কৃষিক্ষেত্রে সঙ্কট ডেকে আনবে তেমনই বিভিন্ন ধরনের রোগ ও সংক্রমণ বাড়বে। যা মানুষের স্বাস্থ্যকে আরও দুর্বল করে দেবে।