চিনকে কড়া জবাব! তিব্বতের বহু এলাকার নাম বদল করবে ভারত

ইটের জবাব এবার পাটকেলে দিল ভারত। এতদিন অরুণাচল প্রদেশে বিভিন্ন এলাকার নাম পরিবর্তন করেছে চিন। এবার সেই পথে হেঁটেই পাল্টা তিব্বতের একাধিক এলাকার নাম বদলের…

ইটের জবাব এবার পাটকেলে দিল ভারত। এতদিন অরুণাচল প্রদেশে বিভিন্ন এলাকার নাম পরিবর্তন করেছে চিন। এবার সেই পথে হেঁটেই পাল্টা তিব্বতের একাধিক এলাকার নাম বদলের সিদ্ধান্ত নিল নয়াদিল্লি। যদিও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে বিদেশমন্ত্রকের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে সাউথ ব্লকের অন্দরে কান পাতলে এমনটিই শোনা যাচ্ছে বলে দাবি কূটনৈতিক মহলের। সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটে জিতে ফের ক্ষমতায় আসতেই এবার চিনকে নিয়ে কড়া বার্তা দিতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই কারণেই তিব্বতের ৩০ টি জায়গার নাম বদলের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। লাইন-অব- অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা এলএসি বরাবর এই ৩০ টি জায়গার নাম বদল করা হবে। ভারতীয় সেনার মিলিটারি ম্যাপেও ওই জায়গাগুলির পরিবর্তিত নাম প্রকাশ করা হবে।

এই ঘটনাটি সামনে আসতেই চাপানউতোর শুরু হয়েছে কূটনৈতিক মহলে। সেই জল্পনায় ঘি ঢেলেছে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মন্তব্য। সদ্য গঠিত এনডিএ সরকারের বিদেশমন্ত্রকের দায়িত্ব নিয়েছেন এস.জয়শঙ্কর। দায়িত্ব নিয়েই দুই প্রতিবেশী চিন ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে সমঝে থাকার বার্তা দিয়েছেন। সুতরাং চিন-পাকিস্তান প্রশ্নে নয়াদিল্লি যে অনমনীয় মনোভাব বজায় রেখেই চলবে তা একরকম ধারণা করা যেতে পারে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

   

স্বাধীনতার পর থেকেই অরুণাচল প্রদেশকে নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে রয়েছে দুটি দেশ। বিগত কয়েক বছরে একাধিকবার অরুণাচলে অনুপ্রবেশ করেছে চিনের পিএলএ। শুধু অরুণাচল নয়,লাদাখের বিস্তৃর্ণ এলাকাতে নিজেদের আধিপত্যের আওয়াজ শোনাচ্ছে ড্রাগন। ২০১৭ সালে ডোকলাম ও ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘাতের পর দু-দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। এছাড়াও দক্ষিণ চিন সাগরে ভারতের নাক গলানোতে যথেষ্ট বিরক্ত বেজিং। গত কয়েক বছরে একাধিক আন্তর্জাতিক মঞ্চে মুখোমুখি হয়েছিলেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান,কিন্তু তাতে বরফ গলেনি মোটেও। বরং পারস্পারিক বিশ্বাস, ভরসা সবই হ্রাস পেয়েছে। এমন অবস্থায় তি্ব্বতের ওপর ভারতের ‘পলিটিক্যাল এক্সপেরিমেন্ট’ আদৌ কতটা সফল হবে তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।