BrahMos: গত কয়েক বছরে ভারতের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত রফতানি দ্রুত বেড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার সহায়তায় তৈরি ব্রহ্মোস (BrahMos) সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) কাছে বিক্রি করতে পারে ভারত। যদি সব ঠিক থাকে তাহলে এই চুক্তি প্রায় $450 মিলিয়ন মূল্য হতে পারে। উল্লেখ্য, এই বছরের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রবোও সুবিয়ানতো (Prabowo Subianto)।
ব্রহ্মোস ক্রুজ মিসাইলের জন্য এই চুক্তির ঘোষণা শীঘ্রই হতে পারে। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি তাদের প্রতিবেদনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্রকে উদ্ধৃত করেছে। সেই সূত্র থেকে জানা গিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার বাজেটে এর জন্য তহবিলের ব্যবস্থা করা এই চুক্তির একটি বড় বাধা। এই মিসাইলগুলির ফায়ারিং রেঞ্জ প্রায় 380 কিলোমিটার। যদি এই চুক্তিটি হয় তবে ফিলিপাইনের পর ইন্দোনেশিয়া হবে দ্বিতীয় দেশ যারা জাহাজ বিধ্বংসী ক্রুজ মিসাইল ক্রয় করবে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো তাদের সামরিক শক্তি শক্তিশালী করছে। দক্ষিণ চিন মহাসাগর একটি বিরোধের প্রধান ইস্যু। এর প্রধান কারণ চিনের আধিপত্য।
ব্রহ্মোস ক্রুজ মিসাইল বিক্রির জন্য ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে প্রায় এক দশক ধরে আলোচনা চলছে। ভারত ও রাশিয়া যৌথভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে। রাশিয়ার সরকারি মালিকানাধীন সামরিক হার্ডওয়্যার সরবরাহকারী Rosoboronexport-ও এই চুক্তির জন্য আলোচনায় জড়িত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং বিদেশ মন্ত্রক এই ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
সম্প্রতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন যে গত এক দশকে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত রফতানি প্রায় 2,000 কোটি টাকা থেকে 21,000 কোটি টাকা বেড়েছে। রাজনাথ বলেন যে 2029 সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত রফতানি প্রায় 50,000 কোটি টাকা বাড়ানোর লক্ষ্য রয়েছে। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সেনাদের প্রস্তুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন, যুদ্ধের পদ্ধতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে তথ্য, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক এবং সাইবার আক্রমণ। তিনি বলেন, এ ধরনের হামলা মোকাবিলায় সেনাবাহিনীকে উন্নত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সরঞ্জামাদি দিয়ে সজ্জিত করতে হবে।