নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: সীমান্তের সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও নিশ্ছিদ্র করতে এবার আমেরিকা (america) থেকে প্রিডেটর ড্রোন (predator drone) কিনছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে তড়িঘড়ি ৩০টি প্রিডেটর ড্রোন কেনার জন্য ২১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
জেনারেল অ্যাটোমিক্স নামে একটি মার্কিন সংস্থা এই শক্তিশালী ড্রোন তৈরি করে। এই শক্তিশালী ও বিশেষ ধরনের ড্রোনের সাহায্যেই আমেরিকা সিরিয়া, আফগানিস্তান, ইরাকের একাধিক শীর্ষ জঙ্গি নেতাকে খতম করেছে।
সম্প্রতি লাদাখ, (ladakh) অরুণাচল(arunachal) সীমান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর ক্রমশই চাপ বাড়ছে। এমনকী, কিন্নর প্রদেশেও চিনের লালফৌজের উপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে কাশ্মীরে (kashmir) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন এলাকায় পাকিস্তানের গোপন হানা নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তের সুরক্ষা আরও মজবুত করতে স্থল, বায়ু, নৌ তিন বাহিনীকেই আরও শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এজন্যই বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে আনা হচ্ছে শক্তিশালী ও অত্যাধুনিক অস্ত্র। তারই সর্বশেষ সংযোজন হল প্রিডেটর ড্রোন বা এমকিউ-৯বি ( mq-9b)।
প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, ড্রোন কেনার বিষয়ে ইতিমধ্যেই মার্কিন সংস্থার সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে। ওই মার্কিন সংস্থার কাছ থেকে এমকিউ-নাইনবি-এর ‘স্কাই গার্ডিয়ান’ (sky guardian) এবং ‘সি গার্ডিয়ান’ (sea guardian) মডেল কিনবে ভারতীয় সেনা। সেনাবাহিনীর তিন শাখাকেই ১০টি করে এই ড্রোন দেওয়া হবে। এই ড্রোনের মাধ্যমে খুব সহজেই বড় ধরনের হামলা চালানো যাবে। কারণ এই ড্রোন চালনার জন্য কোনও মানুষের প্রয়োজন থাকে না। দূর থেকেই পুরোপুরি রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে ড্রোনকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ফলে এই ড্রোন সহজেই শত্রুপক্ষের সীমানায় ঢুকে শত্রুদের খতম করে আসতে পারবে।
<
p style=”text-align: justify;”>প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতীয় সেনার হাতে এই প্রিডেটর ড্রোন এলে সীমান্তে নজরদারি কাজ আরও দক্ষতার সঙ্গে সামলানো যাবে। বিশেষ করে কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তানের (pakistan) দিক থেকে অনুপ্রবেশ জন্য অপেক্ষারত জঙ্গিদের সহজেই চিহ্নিত করে তাদের উপর আক্রমণ চালানো যাবে। সেক্ষেত্রে দেশের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও সুরক্ষিত হবে।