India-Iran Boost Naval Power: বুধবার নতুন ইতিহাস গড়ল ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। প্রধানমন্ত্রী মোদী মুম্বইয়ের নেভাল ডকইয়ার্ড থেকে আইএনএস ভ্যাগশির, আইএনএস নীলগিরি এবং আইএনএস সুরত দেশকে উৎসর্গ করেছেন। এই প্রথম নৌবাহিনীতে একটি ডেস্ট্রয়ার, একটি ফ্রিগেট এবং একটি সাবমেরিন একসাথে কমিশন করা হয়েছে। ভারতের মতো ইরানের নৌসেনাও পেয়েছে সবচেয়ে বড় ‘সিগন্যাল’। এটি একটি গোয়েন্দা জাহাজ যা অনেক বৈশিষ্ট্যে সজ্জিত।
বুধবার ইরানের নৌসেনাতে গোয়েন্দা জাহাজ সিগন্যাল কমিশন করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা তাসনিম জানায়, সেনাবাহিনীকে ১০০০ ড্রোন সরবরাহের পর এটি দ্বিতীয় বড় সুযোগ যা ইরানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে। তাসনীমের মতে, এই জাহাজটি জাগ্রোস ইলেকট্রনিক সেন্সর দিয়ে সজ্জিত যা সাইবার অপারেশন বন্ধ করার পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি পরিচালনা করার ক্ষমতা রাখে।
India-Iran Boost Naval Power: ইরানের নৌবাহিনীর শক্তি বাড়বে
ইরানের নৌবাহিনীর কমান্ডার শাহরাম ইরানি বলেছেন, সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্স জাহাজটি সাগরে ইরানের নৌবাহিনীর শক্তি বাড়াবে। এটিও বিশেষ কারণ ইরান সম্প্রতি দুই মাসব্যাপী সামরিক মহড়া শুরু করেছে। এর ইরান রেভল্যুশনারি গার্ড ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার বিরুদ্ধে তাদের পারমাণবিক স্থাপনা রক্ষার অনুশীলন করেছে।
India-Iran Boost Naval Power: ইরান সরকার প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়াচ্ছে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ক্ষমতায় বসতে চলেছেন ঠিক সেই সময়েই এই সামরিক মহড়া এবং ইরানের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনা হচ্ছে। এটি সেই সময় যখন ইরানের চিরশত্রু আমেরিকা ও ইজরায়েলের সাথে ক্রমাগত উত্তেজনা বাড়ছে। এর আগে অক্টোবরে ইরান সরকারের মুখপাত্র বলেন যে দেশটিতে বাড়তে থাকা হুমকি মোকাবিলায় সরকার সামরিক বাজেট 200 শতাংশের বেশি বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।
India-Iran Boost Naval Power: ট্রাম্পের সঙ্গে ইরান উত্তেজনা বিরাজ করছে
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদেও ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা ছিল। ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ইরানের পারমাণবিক তৎপরতা রোধে চুক্তি থেকে সরে এসে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। ইরান ক্রমাগত অভিযোগ করে আসছে যে ইরানের বিপ্লবী গার্ড প্রধান কাসিম সুলেমানিকে হত্যার পেছনে আমেরিকার হাত রয়েছে। তবে ইরান ক্রমাগত দাবি করে আসছে যে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে।