শনিবার দিল্লিতে ছিল ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বৈঠক। সেই বৈঠক শেষে বিরোধী জোটের দেশের ক্ষমতা দখলের সম্ভাবনার কথা জানালেন কংগ্রেস সবাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। বললেন, ‘ইন্ডিয়া’ জোট ২৯৫টি আসন পাওয়ার ব্যাপারে প্রবল আত্মবিশ্বাসী। সেই সঙ্গেই তাঁর দাবি, এনডিএ ২৩৫টির বেশি আসন পাবে না। পাশাপাশি খাড়গের পরামর্শ, ‘বিজেপির কথায় কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। ২৯৫টি আসন জেতার কথা বিশ্লেষণ করেই বলা হচ্ছে।’
কংগ্রেস সবাপতির বার্তা, ‘ইন্ডিয়া’ জোটের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের যে কর্মীরা গণনাকেন্দ্রে যাবেন তাঁদের সচেতন থাকতে হবে। ফর্ম ১৭-সি মিলিয়ে দেখতে হবে। গণনা শেষ হওয়ার পর সার্টিফিকেট না পাওয়া পর্যন্ত গণনা কেন্দ্র ছাড়া যাবে না বলেও জানানো হয়েছে। এদিকে, গণনা নির্ভুল এবং প্রভাব মুক্ত করার দাবিতে রবিবারই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবেন বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের নেতারা।
কার দখলে দিল্লির কুর্সি? বুথ ফেরৎ সমীক্ষার আগেই বোমা ফাটালেন প্রশান্ত কিশোর!
মল্লিকার্জুন খাড়়গের বাড়িতে বিরোধী জোটের বৈঠকে ছিলেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে থাকতে পারবেন না বলে আগেই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন। বৈঠকে ছিলেন না জম্মু-কাশ্মীরের পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতিও। তিনি আগেই জানান, মায়ের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। ছিলেন না তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনও। তিনিও আগাম জানান, অন্য কাজে ব্যস্ত থাকবেন। দলের কোষাধক্ষ্যকে বৈঠকে পাঠান তিনি। এক্সিট পোল বিতর্কে অংশগ্রহণ করবে ইন্ডিয়া জোটের রাজনৈতিক দলের মুখপাত্ররা।
এদিনের আলোচনায় ওঠে এক্সিট পোলের প্রসঙ্গ। শনিবার সকালেই রাহুল গান্ধী কর্মী-সমর্থকদের বলেছিলেন, বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলকে গুরুত্ব না দিতে। গণনা কেন্দ্রে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হতে পরামর্শ দেন তিনি। সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব বলেন, বিজেপি চেষ্টা করবে গণনা কেন্দ্রে কারচুপি করার। তিনি চণ্ডীগড় পুর কর্পোরেশেনের মেয়র নির্বাচনে বিজেপির কারচুপির ঘটনা সবাইকে মনে করিয়ে দেন। যদিও ইন্ডিয়া’র বৈঠকের পরে বুথফেরত সমীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত বদলাল কংগ্রেস। এআইসিসির মিডিয়া সংক্রান্ত শাখার ভারপ্রাপ্ত পদাধিকারী পবন খেড়া জানিয়ে দেন যে, শনিবার লোকসভা ভোটপর্ব শেষে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে বুথফেরত সমীক্ষা সংক্রান্ত বিতর্কে অংশ নেবেন ‘ইন্ডিয়া’র সহযোগী দলগুলির প্রতিনিধিরা।