INC: জয়ের পর ‘অপারেশন লোটাস’ ভয়, বিধায়কদের চরমসুখ দিতে মরিয়া কংগ্রেস

ঠিকানা হবে হোটেল। বন্ধ থাকবে মোবাইল। দরকারে দায়িত্বে থাকা নেতার মাধ্যমে যোগাযোগ করা যাবে। একেবারে বন্দিদশা কংগ্রেস (INC) বিধায়কদের। কারণ কংগ্রেস ভীত। হিমাচল প্রদেশে (Himachal…

short-samachar

ঠিকানা হবে হোটেল। বন্ধ থাকবে মোবাইল। দরকারে দায়িত্বে থাকা নেতার মাধ্যমে যোগাযোগ করা যাবে। একেবারে বন্দিদশা কংগ্রেস (INC) বিধায়কদের। কারণ কংগ্রেস ভীত। হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) ক্ষমতায় আসার পথ স্পষ্ট। জয়ের আনন্দ তেমন নেই। কংগ্রেস কাঁপছে ‘operation lotus’ আতঙ্কে। কংগ্রেসের অন্দরে আলোচনা জয়ী বিধায়কদের কেনাবেচা করার জন্য মরিয়া চেষ্টা করবে (BJP) বিজেপি। গুজরাট ধরে রাখলেও হিমাচলে বিজেপির সরকার থাকল না।

   

পরিস্থিতি বুঝে কংগ্রেস ক্রাইসিস ম্যানেজাররা তাদের জয়ী বিধায়কদের অন্য রাজ্যে রাখার ব্যবস্থা করছে। বিলাসবহুল হোটেলে যাবতীয় আরাম-আনন্দ সহ ব্যবস্থার জন্য ছত্তিসগড় ও রাজস্থান দুটি রাজ্যকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তবে হিমাচলের কাছাকাছি রাজস্থানের থেকেও বহু দূরের ছত্তিসগড় বেশি নিরাপদ বলে মনে করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট হোটেলে থাকবে চরমসুখ আমোদ আহ্লাদের ব্যবস্থা।

সূত্রের খবর, ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের সাথে আলোচনা করেই কংগ্রেস বিধায়কদের রায়পুরে রাখার ব্যবস্থা করা হবে। যতবার এমন সংকট এসেছে ছত্তিসগড়কেই বেছে নিয়েছে কংগ্রেস।

জানা যাচ্ছে, কংগ্রেসের উপর বিজেপির অপারেশন লোটাস চালানো রুখতে মাঠে নামছেন মহারাষ্ট্রের প্রবীণ নেতা তথা এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। তিনি বিখ্যাত ‘পাওয়ার প্লে’ খেলার জন্য। বারবার বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁর তত্ত্ব প্রয়োগ করেছেন পাওয়ার। মহারাষ্ট্রে শিবসেনা ও কংগ্রেস, এনসিপি জোটের সরকার গড়তে একই ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। তবে সর্বশেষ শিবসেনায় ভাঙন ধরিয়ে ফের মহারাষ্ট্রে বিজেপি ক্ষমতার শরিক হয়েছে। পাওয়ার সর্বশেষ চেষ্টা করেও পারেননি।

তবে কংগ্রেস বিধায়কদের নিয়ে ঘোড়া কেনাবেচা রুখতে ‘পাওয়ার প্লে’, ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বাঘেল, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলটকে একযোগে মাঠে নামাচ্ছে কংগ্রেস।