হাইকোর্টের রায় খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, গ্রিন বাজি পোড়াতে বাধা নেই

News Desk, New Delhi: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে জানিয়েছিল আসন্ন কালীপুজো ও দীপাবলিতে কোনও ধরনের বাজি (Fireworks ) পোড়ানো যাবে না। সোমবার হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ করে…

Fireworks

News Desk, New Delhi: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে জানিয়েছিল আসন্ন কালীপুজো ও দীপাবলিতে কোনও ধরনের বাজি (Fireworks ) পোড়ানো যাবে না। সোমবার হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ করে দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে পরিবেশবান্ধব বাজি বিক্রি করতে কোনও অসুবিধা নেই। সব বাজি নিষিদ্ধ করতে হবে এটা হতে পারে না তবে পরিবেশবান্ধব বাজি বিক্রি হচ্ছে কিনা সে বিষয়টি দেখতে হবে প্রশাসনকে।

শীর্ষ আদালত অবশ্য আগেই জানিয়েছিল, পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে পরিবেশবান্ধব বা গ্রিন বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা নেই। সুপ্রিম কোর্ট শুধুমাত্র বেরিয়াম লবণসমৃদ্ধ বাজি পোড়ানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। তবে সোমবার শীর্ষ আদালতের নির্দেশ সেই বিতর্কের অবসান ঘটেছে। সুপ্রিম কোর্ট এদিন জানিয়ে দিয়েছে, তাদের এই নির্দেশ সব রাজ্যের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। স্বাভাবিকভাবেই পশ্চিমবঙ্গেও এই নির্দেশ কার্যকর হবে।

   

বাজি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে দৃশ্যতই অসন্তোষ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বেঞ্চে এদিন বলেছে, রাজ্য সরকার যদি সুপ্রিম কোর্টের আদেশ না মানে সে ক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানো যেতেই পারে। তবে যেখানে বাতাসে দূষণের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত বেশি সেখানে পরিবেশবান্ধব বাজি ফাটানো যাবে না। তবে এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে পুলিশ ও প্রশাসনকে। পরিবেশবান্ধব বাজি বলে যেগুলি বিক্রি হচ্ছে সেগুলি পরিবেশবান্ধব কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। দীপাবলি বা কালীপূজায় বাজি একেবারেই নিষিদ্ধ এটা মেনে নেওয়া যায় না। সুপ্রিম কোর্টের আদেশ বাজি প্রেমীদের জন্যও নিশ্চিতভাবেই সুখবর। অর্থাৎ আসন্ন কালীপুজো ও দীপাবলিতে তাঁরা বাজি পোড়াতে পারবেন।

সুপ্রিমকোর্টে এদিনের শুনানিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাজ্যে পরিবেশবান্ধব বাজি তৈরির কারখানা নেই। সেক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব বা গ্রিন বাজি আমদানি করতে হবে। কিন্তু এই মুহূর্তে আমদানি করার মত সময় নেই। রাজ্য সরকারের ওই বক্তব্য খন্ডন করে বাজি প্রস্তুতকারীরা জানান, ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে গ্রিন বাজি এসে গিয়েছে। ওই সমস্ত বাজির কিউ আর কোডও মিলিয়ে দেখা হয়েছে। ফলে এ ধরণের পরিবেশবান্ধব বাজি বিক্রি করলে কোনও সমস্যা হবে না।

সুপ্রিম কোর্টের এদিনের নির্দেশে বাজি ব্যবসায়ী মহলেও খুশির ছোঁয়া। বাজি ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্ট বাজি নিয়ে একটি ভুল রায় দিয়েছিল। সেই রাজ রায় খারিজ করে দেওয়ার জন্য সুপ্রিমকোর্টের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ শুধু ৩১ কোটি বাজি ব্যবসায়ীর জয় নয়, এটা বাংলার মানুষেরও জয়। কারণ বাংলার মানুষও কালীপুজো ও দীপাবলিতে আনন্দ করতে চায়। সেই আনন্দের অন্যতম অঙ্গ বাজি। পাশাপাশি বাজি ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা মানুষকে আদালতের বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বাজি ফাটানোর অনুরোধ জানিয়েছেন।