পান করা যাবে গঙ্গার জল, ছাড়পত্র আইআইটি কানপুরের

গঙ্গার  পবিত্র জল (Ganga water) পানের উপযুক্ত, এমন দাবি জানিয়েছে আইআইটি কানপুরের (IIT Kanpur) সাম্প্রতিক এক গবেষণা। বিশেষত গঙ্গোত্রী থেকে ঋষিকেশ পর্যন্ত বিস্তৃত অংশে গঙ্গার…

IIT Kanpur Study Confirms Ganga Water from Gangotri to Rishikesh is Drinkable

short-samachar

গঙ্গার  পবিত্র জল (Ganga water) পানের উপযুক্ত, এমন দাবি জানিয়েছে আইআইটি কানপুরের (IIT Kanpur) সাম্প্রতিক এক গবেষণা। বিশেষত গঙ্গোত্রী থেকে ঋষিকেশ পর্যন্ত বিস্তৃত অংশে গঙ্গার জলকে পান করার যোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এই গবেষণা সেই সময়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে যখন উত্তর প্রদেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড জানিয়েছে যে, অনেক এলাকায় গঙ্গার জল পান করার জন্য সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত।

   

আইআইটি কানপুরের গবেষণা বলছে, গঙ্গোত্রী থেকে ঋষিকেশ পর্যন্ত নদীর নির্দিষ্ট কিছু অংশ এখনও পরিষ্কার এবং বিশুদ্ধ। এই জায়গাগুলিতে জলের গুণগত মান বিশ্লেষণ করার পর বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছেন যে এটি পান করার জন্য উপযুক্ত।

গঙ্গার দূষণ পরিস্থিতি
গঙ্গা ভারতের অন্যতম পবিত্র নদী এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবিকা নির্বাহের অন্যতম প্রধান উৎস। তবে শিল্প কলকারখানার বর্জ্য এবং অন্যান্য দূষণকারীর কারণে নদীর জল অনেক অংশেই সম্পূর্ণ দূষিত হয়ে পড়েছে। উত্তর প্রদেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড জানিয়েছে যে নদীর জল, বিশেষত কানপুর, বারাণসী, এবং প্রয়াগরাজ অঞ্চলে, পান করার অযোগ্য।

গবেষণার ফলাফল
আইআইটি কানপুরের গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে, গঙ্গার উৎসস্থল থেকে ঋষিকেশ পর্যন্ত বিস্তৃত কিছু অঞ্চল এখনও তুলনামূলকভাবে কম দূষিত এবং সেখানকার জল পানের জন্য নিরাপদ।

গবেষণায় জলের বিভিন্ন রাসায়নিক এবং ব্যাকটেরিয়া উপস্থিতি পরীক্ষা করা হয়েছিল। গঙ্গোত্রী থেকে ঋষিকেশ পর্যন্ত অঞ্চলে পাওয়া জলে দ্রবীভূত অক্সিজেন (DO), জৈব দূষণ সূচক (BOD), এবং কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা নির্ধারিত সীমার মধ্যে পাওয়া গেছে।

জনসাধারণের বার্তা
গঙ্গার জল পানের জন্য আবারও উপযোগী করার লক্ষ্যে সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসন একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করেছে। “নমামি গঙ্গে” প্রজেক্টের অধীনে ইতিমধ্যেই নদী পরিষ্কার করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই ধরনের গবেষণা সেই উদ্যোগকে আরও গতিশীল করতে সাহায্য করবে।

পরিষ্কার গঙ্গার গুরুত্ব
গঙ্গার জলকে দূষণমুক্ত রাখা শুধুমাত্র পরিবেশ রক্ষা করার বিষয় নয় বরং মানুষের স্বাস্থ্য, কৃষি, এবং দেশের সংস্কৃতির সাথেও গভীরভাবে সম্পর্কিত। গঙ্গা শুধুমাত্র নদী নয়, এটি ভারতীয় সমাজের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক ভিত্তি।

আইআইটি কানপুরের গবেষণা এই ব্যাপারে আশা জাগাচ্ছে যে সঠিক প্রচেষ্টা এবং যত্নশীল পরিকল্পনার মাধ্যমে গঙ্গার অন্যান্য অংশকেও পানযোগ্য করা সম্ভব হবে।