ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (IIT) গুয়াহাটির গবেষকরা একটি সস্তা এবং পরিবেশ বান্ধব ‘প্যাসিভ’ বিকিরণকারী কুলিং সিস্টেম ডিজাইন করেছেন যার কাজ করার জন্য বৈদ্যুতিক শক্তির প্রয়োজন হবে না। গবেষকদের দাবি এটি বাজারচলতি এয়ার-কন্ডিশনারগুলির ভালো বিকল্প হয়ে উঠতে পারে।
এই ‘রেডিয়েটিভ কুলার’-এর কোটিং উপকরণগুলি একটি এমন কুলিং সিস্টেম যাতে বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে না। কারণ এটি দিনে এবং রাতে প্রতিটি ছাদে ব্যবহার করা যেতে পারে। প্যাসিভ রেডিয়েটিভ কুলিং পদ্ধতিগুলি ইনফ্রারেড বিকিরণ করে। এটি শোষিত উষ্ণতা নির্গত করে কাজ করে যা ঠান্ডা করে দেয় ওই সিস্টেমের চারপাশ।
“এই রেডিয়েটিভ কুলারগুলির অপারেশনের জন্য কোনও বাহ্যিক শক্তির উত্সের প্রয়োজন হয় না। ভারতের মতো গরম আবহাওয়ার মধ্যে দেশগুলিতে বাড়িঘর এবং অটোমোবাইলগুলিকে শীতল করার জন্য ব্যবহৃত প্রচলিত এয়ার কুলার বা এয়ার কন্ডিশন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দারুণ বিকল্প হতে পারে। এমনই জানাচ্ছেন আইআইটি গুয়াহাটির ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক দেবব্রত সিকদার।
যাই হোক তারা যে কুলারের ডিজাইন করেছে তা ফটো ভোল্টাইক এবং বায়ুমণ্ডলীয় বিকিরণের জন্য প্রায় ৯৭ শতাংশ প্রতিফলন করছে। বায়ুমণ্ডলীয় ট্রান্সমিট্যান্স তরঙ্গদৈর্ঘ্যের বিকিরণের জন্য ৮০ শতাংশ অর্জন করেছে।
বেশিরভাগ প্যাসিভ রেডিয়েটিভ কুলার শুধুমাত্র রাতে কাজ করে। দিনের বেলা অপারেশনের জন্য, এই কুলারগুলিকে সঠিকভাবে সম্পূর্ণ ফটো ভোল্টাইক রেডিয়েশন মিরর করতে হবে। এখন অবধি, এই শীতলকরণ পদ্ধতিগুলি সাধারণত দিনের বেলায় পর্যাপ্ত শীতলতা দেওয়র মত অবস্থায় থাকে না।