প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার একটি সংবাদ সম্মেলনে ভোটার তালিকা সংশোধন এবং ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ নিয়ে স্পষ্ট বক্তব্য রেখেছেন (Voter List)। তিনি সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমি ১২টি জাতীয় ও রাজ্য রাজনৈতিক দলের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, তারা যেন ১ সেপ্টেম্বরের আগে খসড়া ভোটার তালিকার ত্রুটি চিহ্নিত করে।
নির্বাচন কমিশন এই ত্রুটি সংশোধন করতে প্রস্তুত, কিন্তু ১ সেপ্টেম্বরের পর নয়। কারণ, এরপর থেকে ভোটার তালিকা একটি বিষয় এবং ভোটদান আরেকটি বিষয় হয়ে যায়। যখন একজন ভোটার ভোট দিতে যান এবং বোতাম টেপেন , তিনি কেবল একবারই তা টিপতে পারেন। ভোট চুরি হওয়া সম্ভব নয়।
একজন ভোটার কেবল একবারই তাঁর ভোট দিতে পারেন।”সম্প্রতি বিহারে রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) এবং কংগ্রেস, ‘ভোটাধিকার যাত্রা’ শুরু করে অভিযোগ করেছে যে নির্বাচন কমিশন বিজেপির নির্দেশে কাজ করছে এবং ভোটার তালিকা থেকে ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
এই অভিযোগের জবাবে জ্ঞানেশ কুমার বলেন, “নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক সংস্থা। আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে কাজ করি না। ভোটার তালিকা সংশোধন একটি নিয়মিত এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়া। আমরা সব রাজনৈতিক দলকে খসড়া তালিকা পরীক্ষা করার এবং ত্রুটি থাকলে তা জানানোর জন্য পর্যাপ্ত সময় দিয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “১ সেপ্টেম্বরের পর ভোটার তালিকা চূড়ান্ত হয়ে যায়। এরপর নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হয়, যেখানে ভোটার তালিকার সংশোধন আর সম্ভব নয়। ভোটাররা যখন ভোট দিতে যান, তখন তাঁরা একবারই ভোট দিতে পারেন। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং ভিভিপ্যাট ব্যবস্থার মাধ্যমে ভোটদানের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছ এবং নিরাপদ।
‘ভোট চুরি’র মতো অভিযোগ শুধুমাত্র জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ায় এবং এটি সংবিধানের প্রতি অপমান।”জ্ঞানেশ কুমার জানান, ভোটার তালিকা সংশোধনের সময় ‘দাবি ও আপত্তি’ পর্বে সব রাজনৈতিক দলের কাছে খসড়া তালিকা পাঠানো হয়। এই সময়ে দলগুলি তাদের আপত্তি জানাতে পারে।
তিনি বলেন, “বিহারে স্পেশাল ইলেক্টোরাল রিভিশন (SIR) একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে মৃত বা স্থানান্তরিত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয় এবং নতুন ভোটারদের নাম যুক্ত করা হয়। এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছভাবে এবং সব দলের সম্মতিতে সম্পন্ন হয়।” তিনি আরও জানান, যদি কোনো দল বা ব্যক্তির কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে তারা সরাসরি নির্বাচন কমিশনের কাছে আসতে পারেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিহারে কিছু রাজনৈতিক দল বিনা অনুমতিতে মিনতা দেবীর ছবি টি-শার্টে ব্যবহার করেছে, যা নির্বাচনী আইনের লঙ্ঘন। তিনি বলেন, “এই ধরনের কাজ নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতার উপর প্রশ্ন তুলে। আমরা এই বিষয়ে তদন্ত করছি এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।”
ভারত মহাসাগরে ‘সুপারসনিক’ ক্ষেপণাস্ত্রের চূড়ান্ত পরীক্ষা করবে ডিআরডিও
নির্বাচন কমিশন জোর দিয়েছে যে ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট ব্যবস্থার মাধ্যমে ভোটদানের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ। জ্ঞানেশ কুমার বলেন, “একজন ভোটার কেবল একবার ভোট দিতে পারেন। এই ব্যবস্থায় কোনো ধরনের জালিয়াতি বা ভোট চুরির সম্ভাবনা নেই।” তিনি জনগণকে এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগে বিশ্বাস না করার আহ্বান জানান।