Uttarkashi: হ্যালো কন্ট্রোল রুম আমরা রেডি…শ্রমিকদের নিয়ে যাবে বায়ু সেনার চিনুক কপ্টার

উপরে গঙ্গা তীরে (Uttarkashi) উত্তরকাশী। নিচে হৃষিকেশ। হিমালয়ের অতি খামখেয়ালি আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে এই দুই শৈলশহর। গঙ্গার উচ্চ অববাহিকার সিল্কিয়ারা গ্রামে টানেল ধসের তলা থেকে…

উপরে গঙ্গা তীরে (Uttarkashi) উত্তরকাশী। নিচে হৃষিকেশ। হিমালয়ের অতি খামখেয়ালি আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে এই দুই শৈলশহর। গঙ্গার উচ্চ অববাহিকার সিল্কিয়ারা গ্রামে টানেল ধসের তলা থেকে ১৬ দিন পর উদ্ধার করা শ্রমিকদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর দ্রুত হৃষিকেশ নিয়ে যাবে বায়ু সেনার চিনুক কপ্টার। চালক ঘনঘন কথা বলছেন কন্ট্রোল রুমের সাথে। দেরাদুনের বিমানবন্দরের এটিসি সর্বক্ষণ আপডেট দিচ্ছে আকাশপথের। সিল্কিয়ারা গ্রাম থেকে হৃষিকেশের এইমসে আকাশ পথে নিয়ে যাবে বায়ু সেনা। 

হ্যালো কন্ট্রোল রুম, হ্যালো হ্যালো….অল ক্লিয়ার বাডি। গো অ্যাহেড। এটিসি নির্দেশ পেয়ে বায়ু সেনার চালক নব ঘোরালেন। অলটিচিউড কাউন্ট শুরু। কাঁটা ঘুরছে কন্ট্রোল প্যানেলের। আকাশপথে হৃষিকেশ বেশি দূরে নয়। এই মিশনের শেষ অংশটি বায়ু সেনার উপর নির্ভর। কারণ, সড়কপথে হৃষিকেশ অনেক দূর।

টানা ১৬ দিন ধসের তলায় থাকা ৪১ জন শ্রমিক জীবন মৃত্যুর ভয়াবহ গুহা থেকে বেরিয়ে আসার পর তাদের শরীরে যে কোনওরকম অসুবিধা হতে পারে। চিকিৎসকরা সব পরীক্ষা করেছেন। এবার এইমসের বিশেষ চিকিৎসা হবে। জানা যাচ্ছে দিল্লি ও রাঁচিতেও এইএমস, রিমস হাসপালের চিকিতসকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে মোটামুটি সব শ্রমিকরা সুস্থ। তবে তাদের চিকিৎসা পর্যবেক্ষণ জরুরি। কারণ, গত ১৬টি দিন প্রবল মানসিক চাপ ও ধসের তলায় বদ্ধ পরিবেশে তারা ছিলেন। এই শ্রমিকদের মধ্যে তিন জন পশ্চিমবঙ্গের।

মঙ্গলবার উত্তরকাশী সিল্কিয়ারা টানেলের গভীর থেকে বিশেষ পাইপে একে তুলে অনা হয় শ্রমিকদের। তাদের জীবনের ভয়াবহ স্মৃতি হয়ে থেকে গেল এই ষোলটি দিন আর সিল্কিয়ারা টানেল। যে টানেল তৈরি না করতে প্রকৃতি ও ভূতত্ববিগরা বারবার সরকারের কাছে বার্তা দিয়েছিলেন। সেটি কাজ চলাকালীন ভেঙে পড়েছিল।