IAF: ভারতীয় বায়ুসেনা ২০৪০ সালের মধ্যে প্রাণঘাতী UCAV সহ একটি নতুন সুপারসনিক স্টিলথ UCAV প্রস্তুত করছে৷ এটি দেশীয় প্রযুক্তিতে সজ্জিত হবে এবং শত্রুর উপর সুনির্দিষ্ট আক্রমণ চালাতে সক্ষম হবে৷ এতে বায়ুসেনার শক্তি ও স্বনির্ভরতা উভয়ই বৃদ্ধি পাবে।
ভারতীয় বায়ুসেনার নজর এখন এমন একটি ফাইটার ড্রোন তৈরিতে যা পাইলট ছাড়াই উড়তে পারে এবং শত্রুকে চমকে দিতে পারে। ডিআরডিও ইতিমধ্যেই ‘ঘটক’ নামে একটি স্টিলথ ইউসিএভি নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু এখন খবর আছে যে বায়ুসেনা 2040 সালের মধ্যে আরও একটি উন্নত UCAV পাবে। এই নতুন ড্রোনটি কেবল স্টিলথ নয়, সুপারসনিক গতিতে উড়তেও সক্ষম হবে।
DRDO এবং ADE যৌথভাবে ‘মারাত্মক’ UCAV প্রস্তুত করছে। এর ওজন হবে প্রায় 13 টন এবং এটি 1.5 টন পর্যন্ত অস্ত্র বহন করতে সক্ষম হবে। এটিকে বিশেষ স্টিলথ ডিজাইন দেওয়া হচ্ছে যাতে এটি রাডারে ধরা না পড়ে। মারাত্মক UCAV যেকোনো শত্রু অঞ্চলে প্রবেশ করতে পারে এবং নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করতে পারে।
ভারতীয় বায়ুসেনা এখন আরও শক্তিশালী UCAV-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ এই নতুন UCAV হবে প্রাণঘাতী থেকে বড় এবং এর অস্ত্র বহন ক্ষমতা হবে প্রায় 4 টন। এটি হবে সুপারসনিক, অর্থাৎ এটি শব্দের চেয়ে দ্রুত উড়তে সক্ষম হবে, এটি 2040 সালের মধ্যে চালু করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ঘটক একটি একক ইঞ্জিন দিয়ে উড়ে গেলেও, নতুন UCAV হবে ডাবল ইঞ্জিনের। যার কারণে এটি ভারী অস্ত্র বহন করে দ্রুত এবং দীর্ঘ দূরত্বে উড়তে সক্ষম হবে। এটির আফটারবার্নারের প্রয়োজন হবে না এবং এটি বেশি শব্দ না করে শত্রুকে ডজ করতে সক্ষম হবে।
এই পুরো প্রকল্পে ভারত স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করছে। কাবেরী ইঞ্জিনের মতো দেশি ইঞ্জিন যুক্ত করে দেশের প্রযুক্তির ওপর আস্থা দেখানো হচ্ছে। এতে শুধু অর্থ সাশ্রয় হবে না, ভারতকেও অন্য কোনো দেশের ওপর নির্ভর করতে হবে না।
চিন, আমেরিকা এবং রাশিয়ার মতো দেশগুলি ইতিমধ্যে স্টিলথ ইউসিএভি তৈরি করেছে। ভারতও এই দৌড়ে পিছিয়ে থাকতে চায় না। নতুন UCAV আগামী সময়ে বায়ুসেনাকে নতুন শক্তি দেবে এবং পাইলট ছাড়াই শত্রু এলাকায় মিশন সম্পূর্ণ করতে সক্ষম হবে।