তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা হুমায়ুনের আহ্বানে মসজিদ প্রতিষ্ঠার জন্য শুরু হওয়া দানের ঢেউ যেন থামছেই না। তার কল্যাণকামী উদ্যোগে জনসাধারণের আগ্রহ ও উদারতা স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। শুধু তাই নয়, এখনও পর্যন্ত যে পরিমাণ অর্থ দান হয়েছে তা যেন এক নতুন রেকর্ডের দিকে ইঙ্গিত করছে।
হুমায়ুনের মসজিদ প্রতিষ্ঠার জন্য শুরু হওয়া এই দানপত্র অভিযান ইতিমধ্যেই অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা ও সমর্থনের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়েছে। দানের পরিমাণ এতটাই বেশি যে, তা পরিচালনার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে মোট ১১টি বাক্সে দানের টাকা ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি বাক্স ও একটি বস্তা খোলার পর প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা ধরা পড়েছে। এই পরিমাণ টাকা শুধুমাত্র সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত গণনা করা হয়েছে। তবে মঙ্গলবার আবারও গণনা প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং আশা করা হচ্ছে আরও বিপুল পরিমাণ অর্থ বেরিয়ে আসবে। দাতাদের মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ রয়েছেন। শিক্ষার্থী থেকে ব্যবসায়ী, চা বিক্রেতা থেকে সরকারি কর্মচারী—প্রায় সবক্ষেত্রের মানুষ এই উদ্যোগে অংশ নিয়েছেন। তাদের উদারতা ও সহযোগিতা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করছে, সমাজে এখনও ঐতিহ্যবাহী ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের অগাধ ভালোবাসা বিদ্যমান। হুমায়ুনের মসজিদ কেবল একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নয়, এটি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই মানুষ এটিকে প্রতিষ্ঠিত করতে যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তা প্রশংসনীয়।
হুমায়ুন নিজেও দানপত্রের এই সাফল্যে অত্যন্ত আনন্দিত। তিনি সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “মানুষের এই অগাধ ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমাদের মসজিদ প্রতিষ্ঠা শুধু ধর্মীয় দিক থেকে নয়, সংস্কৃতি সংরক্ষণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমরা আশা করি আরও মানুষ এই মহৎ উদ্যোগে অংশগ্রহণ করবেন।” মসজিদ প্রতিষ্ঠার জন্য দানের এই প্রচেষ্টা কেবল অর্থের দিক থেকে নয়, এটি সমাজের মধ্যে ঐক্য ও সহযোগিতার একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ যখন একত্রিত হয়ে একটি উদার ও মহৎ উদ্দেশ্যের জন্য অর্থ সহায়তা করেন, তখন তা প্রমাণ করে যে দেশের ঐতিহ্য ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি মানুষের আস্থা ও শ্রদ্ধা এখনও অটুট।
