হিমাচল প্রদেশে যুবসমাজের মধ্যে তামাক বিরোধী সচেতনতা জোরদার করতে রাজ্য সরকার বড়সড় পদক্ষেপ নিয়েছে। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু শিমলায় আনুষ্ঠানিকভাবে “তামাকমুক্ত যুব অভিযান ৩.০” (Tobacco-Free Youth Campaign 3.0) উদ্বোধন করেন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে তিনি রাজ্য সরকারের জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন এবং তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
সচেতনতা র্যালি ও শপথ অনুষ্ঠান:
মুখ্যমন্ত্রী নিজের সরকারি বাসভবন ‘ওক ওভার’ থেকে একটি বিশাল সচেতনতা র্যালির পতাকা উড়িয়ে সূচনা করেন। তিনি উপস্থিত ছাত্র-যুবকদের তামাকজাত দ্রব্য থেকে দূরে থাকার এবং সুস্থ জীবনধারা গ্রহণের আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সুখু শিক্ষার্থীদের শপথ বাক্য পাঠ করান—যাতে তারা কোনো ধরনের নেশাজাতীয় পণ্যে আসক্ত হবে না এবং দেশকে তামাকমুক্ত করার অঙ্গীকার নেয়।
২৬টি আধুনিক ALS অ্যাম্বুলেন্স বিতরণ: HP Tobacco Free Youth Campaign
এই বিশেষ অনুষ্ঠানে জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী ২৬টি অ্যাডভান্সড লাইফ সাপোর্ট (ALS) অ্যাম্বুলেন্স রাজ্যের বিভিন্ন ব্লক মেডিক্যাল অফিসারদের (BMO) মধ্যে বিতরণ করেন। এই আধুনিক অ্যাম্বুলেন্সগুলির মাধ্যমে জরুরি চিকিৎসা পরিষেবার মান ও গতি আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য খাতে বড় সংস্কারের আশ্বাস:
পতাকা প্রদর্শনের পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “স্বাস্থ্য রাজ্য সরকারের অন্যতম শীর্ষ অগ্রাধিকার। আমরা স্বাস্থ্যখাতে বড় ধরনের সংস্কার আনছি। আজ বিভিন্ন ব্লকে আধুনিক অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর করা হয়েছে। যেখানে ঘাটতি রয়েছে, সেগুলিও দ্রুত পূরণ করা হবে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট (PWD) মন্ত্রী বিক্রমাদিত্য সিং, স্বাস্থ্য মন্ত্রী ধনী রাম শান্ডিল, বিধায়ক সঞ্জয় আওয়াস্থি এবং স্বাস্থ্য সচিব।
রামকুমার বিন্দল গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া:
এদিকে, হিমাচল বিজেপি সভাপতি ড. রাজীব বিন্দলের ভাই রামকুমার বিন্দলের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতেই রাজ্য সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।”
যুবসমাজকে নেশামুক্ত রাখাই মূল লক্ষ্য:
“তামাকমুক্ত যুব অভিযান” বর্তমানে তৃতীয় পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো রাজ্যজুড়ে তামাকবিরোধী প্রচার কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করা এবং একটি স্বাস্থ্যবান, নেশামুক্ত যুব সমাজ গড়ে তোলা। সরকারের আশা, এই কর্মসূচি শুধু তামাক সেবনের প্রবণতা রোধই করবে না, বরং আগামী প্রজন্মকে স্বাস্থ্য সচেতন ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে।