বিহার নির্বাচনে নয়া রণনীতি, সোমবারই প্রকাশ্যে আসবে ভোটের সূচি

বিহার, ৬ অক্টোবর: বিহারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা আজই হতে চলেছে। নির্বাচন কমিশন (Bihar Elections 2025) আজ দিল্লিতে বিকেল ৪টায় এক সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে…

Hours Before Model Code, Patna Metro Launched; Bihar Poll Dates to Be Announced at 4 PM

বিহার, ৬ অক্টোবর: বিহারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা আজই হতে চলেছে। নির্বাচন কমিশন (Bihar Elections 2025) আজ দিল্লিতে বিকেল ৪টায় এক সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করবে। এতে ভোটগ্রহণ ও ফলপ্রকাশের তারিখ জানানো হবে। সঙ্গে সঙ্গে বিহারে কার্যকর হয়ে যাবে নির্বাচন আচরণবিধি (Model Code of Conduct)। এর ফলে সরকারের কোনো নতুন ঘোষণা, প্রকল্প উদ্বোধন বা সরকারি অনুষ্ঠান আয়োজনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হবে।

Advertisements

তবে আচরণবিধি জারির আগেই আজ সকালে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার পাটনা মেট্রোর পরীক্ষামূলক পরিষেবার উদ্বোধন করেছেন। সকাল ১১টায় তিনি তিনটি স্টেশনের মধ্যে মেট্রো চলাচলের সূচনা করেন। এই প্রকল্প বহুদিন ধরেই বিহারবাসীর প্রত্যাশার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। অবশেষে আজ তা আংশিকভাবে চালু হলো। পাটনার নাগরিকদের জন্য এটি একটি বড় সাফল্য এবং পরিবহণ ব্যবস্থায় এক নতুন যুগের সূচনা।

   

গতকালই প্রধান নির্বাচন কমিশনার (CEC) জ্ঞানেশ কুমার ও অন্যান্য দুই নির্বাচন কমিশনার পাটনা সফর শেষ করে দিল্লি ফিরে গেছেন। পাটনায় তাঁরা দুই দিনের সফরে নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ভোটার তালিকা, ইভিএম প্রস্তুতি, ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণসহ নানা বিষয়ে তাঁরা খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ করেন। এরপর পাটনায় আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁরা জানান, নির্বাচনের ঘোষণা শিগগিরই হবে।

পাটনায় সাংবাদিক বৈঠকে জ্ঞানেশ কুমার বিহারের জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন। তিনি বলেন, “যেভাবে আপনারা ছট পূজাকে এক মহান লোক-আস্থার উৎসব হিসেবে উদযাপন করেন, সেভাবেই গণতন্ত্রের এই উৎসব—নির্বাচনকেও উদ্দীপনার সঙ্গে পালন করুন। সবাই ভোট দিন।” তাঁর এই আহ্বান রাজ্যের নাগরিকদের মধ্যে গণতান্ত্রিক চেতনা বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিহার বিধানসভায় মোট ২৪৩টি আসন রয়েছে। সম্ভাব্য হিসেবে নির্বাচন দু’টি বা তিনটি ধাপে হতে পারে। বিগত নির্বাচনের মতো এবারও নির্বাচন কমিশন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পর্যবেক্ষক নিয়োগ, ও বিশেষভাবে মহিলাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির দিকে নজর দেবে বলে জানা গিয়েছে।

নির্বাচন আচরণবিধি জারি হওয়ার পর রাজ্যের সমস্ত সরকারি দফতরে নতুন ঘোষণা বন্ধ থাকবে। নতুন কোনো প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর বা উদ্বোধন করা যাবে না। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে রাজ্য প্রশাসন ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। প্রত্যেক জেলায় জেলাশাসকদের সঙ্গে সমন্বয় করে ভোটগ্রহণের যাবতীয় কর্মসূচি তৈরি করা হচ্ছে।