ভোপাল: দুপুরের ব্যস্ত শহর। নাগরথ চকের মোড়ে যানবাহন আর মানুষের ভিড়। হঠাৎই ছন্দ ভাঙল ঘোড়ার টগবগ আওয়াজে। একে অপরের দিকে ক্ষিপ্ত ছুট, খুরের আঘাতে ধুলো উড়ছে বাতাসে। এক মুহূর্তেই যেন শহরের বুকে নেমে এল বন্যতা। দুই ঘোড়ার রণক্ষেত্র হয়ে উঠল জনবহুল রাস্তা (Horses Gets Stuck in Rickshaw)।
ই-রিকশায় ঝাঁপ
এরই মধ্যে রক্তচক্ষু নিয়ে হঠাৎ করে চলন্ত ই-রিকশায় ঝাঁপ দিল একটি ঘোড়া। সঙ্গে সঙ্গে থেকে যায় ই-রিকসাটি, রক্তাক্ত হন রিকশাচালক ও এক যাত্রী। হতবাক প্রত্যক্ষদর্শীরা ছুটে আসেন, রিকশা থেকে আহতদের টেনে বের করা হয়। কিন্তু এই হুলস্থূলের মধ্যে, রিকশার কাঠামোয় আটকে পড়ে ঘোড়াটি। প্রায় ২০ মিনিট আটকে ছিল সে। অবশেষে স্থানীয়দের চেষ্টায় মুক্ত হয় পশুটি৷ তাকেও আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়৷
প্রশাসনিক উদাসীনতা
ঘটনাটি শুধু দুর্ঘটনা নয়, বরং প্রশাসনিক উদাসীনতারও প্রতিচ্ছবি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরেই ওই এলাকায় ঘোড়াদের লড়াই চলছে। একাধিকবার জানানো সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি পুরসভা বা পুলিশ। এমনকী, পশু অধিকার রক্ষা সংস্থারও দেখা মেলেনি ঘটনাস্থলে।
জব্বলপুরের বাসিন্দা মেহমুদ জানালেন, “বারবার প্রশাসনকে জানিয়েছি। কিন্তু কোনও নজরদারি নেই। এভাবে তো সাধারণ মানুষ সুরক্ষিত নয়।” প্রশাসনের নীরবতা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন, একের পর এক ‘ওয়ার্নিং সাইন’ উপেক্ষা করার খেসারত কি এবার দিল সাধারণ মানুষ?