J&K: কাশ্মীরের অশান্তিতে পাক মদত, এমনই রিপোর্ট পেল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

জম্মু-কাশ্মীরের আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটেচ্ছে। সন্ত্রাসবাদীদের একের পর এক হামলায় একাধিক জনের মৃত্যু হয়েছে। একাধিক হত্যাকাণ্ডের জন্য পাকিস্তানের দিকেই আঙুল তুলল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ। এমনটাই রিপোর্ট…

Union Home Minister Amit Shah

জম্মু-কাশ্মীরের আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটেচ্ছে। সন্ত্রাসবাদীদের একের পর এক হামলায় একাধিক জনের মৃত্যু হয়েছে। একাধিক হত্যাকাণ্ডের জন্য পাকিস্তানের দিকেই আঙুল তুলল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ। এমনটাই রিপোর্ট জমা পড়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, কাশ্মীর থেকে সংখ্যালঘুদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।

কাশ্মীরে লাগাতার সন্ত্রাস পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার নর্থব্লকে জরুরি বৈঠক বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা সহ গোয়েন্দা বিভাগের কর্তারা। পাশাপাশি কাশ্মীরের পুলিশ কর্তাদের নিয়ে দফায় দফায় মিটিং করেন তিনি।

সেই বৈঠকেই গোয়েন্দা সংস্থাগুলি রিপোর্ট দেয়, উপত্যকায় জঙ্গি নাশকতাকে মদত দিচ্ছে পাকিস্তান। তাদের সাহায্যে কাশ্মীরের নিরীহ মানুষজনের ওপর আক্রমণ শানাচ্ছে আততায়ীরা। গোয়েন্দাদের দাবি, হিংসার ঘটনা উত্তরোত্তর বাড়ছে উপত্যকায়। এই ঘটনাগুলোর সঙ্গে জিহাদের কোনও সম্পর্ক নেই বটে, তবে উপত্যকায় অশান্তি জিইয়ে রাখার চেষ্টা করছে জঙ্গিরা। আর এর পেছনে সম্পূর্ণ সহযোগিতা রয়েছে পাকিস্তানের। তবে এর সঙ্গে তালিবানি জঙ্গি সংগঠনের কোনও যোগ নেই বলেও জানানো হয়েচ হয়েছে।

দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা সরিয়ে নেয় কেন্দ্র। এরপর কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের গতিবিধি অনেকটাই কমে গিয়েছিল। কিন্তু নিরাপত্তা ধীরে ধীরে শিথিল করতেই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির প্রভাব মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। গত কয়েক মাস ধরেই উপত্যকায় জঙ্গিরা বেছে বেছে হিন্দু এবং শিখ সম্প্রদায়ের মানুষদের খুন করছে। কাশ্মীরি পণ্ডিত রাহুল খুনের পরেই উপত্যকায় সংখ্যালঘু পণ্ডিত সম্প্রদায়ের ক্ষোভ দানা বাঁধছিল। নিরাপত্তার দাবীতে পথে নামতে দেখা গেছে পণ্ডিতদের৷ এরই মধ্যে মঙ্গলবার স্কুলশিক্ষিকা রজনীর হত্যার পর নিজ নিজ জেলায় পোস্টিং চাইছেন। এরপর ব্যাঙ্ক কর্মচারী এবং দুই পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর পর শহর ছাড়ছে বহু পরিবার।

কেন্দ্র সরকারের অধীনে কর্মরত সমস্ত কর্মচারীরা ধীরে ধীরে কাশ্মীর ছাড়ছেন। একদিনে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনা পুরাতন দিনের কথা মনে করাচ্ছে কাশ্মীরকে। কাশ্মীরে কোথাও সরকারী কর্মচারীদের জন্য নিরাপদ জায়গা নেই৷