কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শনিবার একদিনের সফরে ছত্তিশগড়ের জগদলপুরে যাচ্ছেন। সফরের শুরুতেই তিনি বাস্তার অঞ্চলের আধ্যাত্মিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত মা দান্তেশ্বরী মন্দিরে পূজা অর্চনা করবেন। এই মন্দির স্থানীয় আদিবাসী সমাজের কাছে অত্যন্ত পবিত্র স্থান। দেবী দান্তেশ্বরীকে বাস্তারের রক্ষাকর্ত্রী ও পথপ্রদর্শক হিসেবে মানা হয়।
বাস্তার দশেরা: ৭৫ দিনের অনন্য উৎসব:
অমিত শাহ পরে লালবাগ ময়দানে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক বাস্তার দশেরা উৎসবে যোগ দেবেন। প্রায় ৬০০ বছরের পুরনো এই উৎসব কাকতীয় রাজবংশের সময় শুরু হয়েছিল। ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের দশেরার মতো এখানে রাবণের পুতুল দাহ করা হয় না। বরং এখানে শ্রাবণ মাসের অমাবস্যা তিথি থেকে ‘পাত জাত্রা’ আচার দিয়ে উৎসবের সূচনা হয় এবং এটি চলে টানা ৭৫ দিন ধরে।
‘পাত জাত্রা’ অনুষ্ঠানে বন থেকে প্রথম কাঠ আনা হয় রথ নির্মাণের জন্য। উৎসবের শেষ হয় ‘মুরিয়া দরবার’-এর মাধ্যমে, যেখানে বস্তারের মহারাজ জনগণের সমস্যা শোনেন ও সমাধানের আশ্বাস দেন।
উপজাতি ঐক্যের প্রতীক এই উৎসব: Home Minister attends Bastar Dussehra
বাস্তার দশেরা কেবল ধর্মীয় আচার নয়, এটি বাস্তারের বিভিন্ন উপজাতি সম্প্রদায়কে একত্রিত করার এক মহোৎসব। এই সময় উপজাতিরা তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক, লোকসঙ্গীত ও নৃত্যের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক ঐক্যের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
এই উৎসবের খ্যাতি আজ দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবছর অসংখ্য দেশি-বিদেশি পর্যটক এই অনন্য ঐতিহ্য উপভোগ করতে ছত্তিশগড়ে আসেন।
বিশেষ নিরাপত্তা ও সাংস্কৃতিক বার্তা:
অমিত শাহের সফরকে ঘিরে প্রশাসন ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই সফর শুধু একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ নয়; এটি বাস্তারের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য, উপজাতি সংস্কৃতি এবং আঞ্চলিক সংহতির প্রতি কেন্দ্র সরকারের সম্মান প্রদর্শনের বার্তাও বহন করছে।