Holi Utsav: মথুরায় ঠাকুর বাঁকে বিহারী মন্দিরে ভক্তদের ভিড়, শ্বাসরোধে পাঁচজন অসুস্থ

উত্তরপ্রদেশের তীর্থস্থান মথুরায় এই দিনগুলিতে হোলি পালিত (Holi Utsav) হয়। রবিবার এখানে বৃন্দাবনের ঠাকুর বাঁকে বিহারী মন্দিরে ভক্তদের বিশাল ভিড়। এতে এক শিশুসহ পাঁচজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।

thakur banke bihari temple in mathura

উত্তরপ্রদেশের তীর্থস্থান মথুরায় এই দিনগুলিতে হোলি পালিত (Holi Utsav) হয়। রবিবার এখানে বৃন্দাবনের ঠাকুর বাঁকে বিহারী মন্দিরে ভক্তদের বিশাল ভিড়। এতে এক শিশুসহ পাঁচজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তাদের মন্দির চত্বরে নির্মিত অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। এখানে চিকিৎসা শেষে তাকে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সকাল থেকেই মন্দির চত্বরে দর্শনার্থীদের ভিড় জমে যায়। সন্ধ্যে নাগাদ অবস্থা এমন হয়ে গেল যে পা ফেলারও জায়গা রইল না। ভিড়ের পুলিশকেও অসহায় লাগছিল।

ফিরোজাবাদের বাসিন্দা গীতা, কলকাতার বাসিন্দা দীপশিখা, গোয়ালিয়রের বাসিন্দা গায়ত্রী গোস্বামী, দিল্লির বাসিন্দা দীপা এবং মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা রাঘব বাঁকেবিহারী মন্দির দেখতে এসেছিলেন। পরিবারের সদস্যরা কোনোভাবে তাকে ভিড় থেকে টেনে মেডিক্যাল ক্যাম্পে নিয়ে যান। অন্যদিকে, মন্দিরের বাইরের রাস্তায় এত ভিড় ছিল যে শিশু, বৃদ্ধ এবং মহিলারা খুব কমই মন্দিরে পৌঁছাতে পারেন।

ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ প্রশাসন
সকালে দরজা খোলার আগেই মন্দিরের বাইরে ভিড় জমে যায়। মন্দির ব্যবস্থাপনা ও পুলিশ ব্যবস্থা সামলানোর চেষ্টা করলেও ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়। বিদ্যাপীঠ চৌরাহা ও যুগলঘাটে স্থাপিত ব্যারিকেডগুলিও পড়ে যেতে থাকে, এখানকার মানুষের চাপ ছিল অনেক।

মন্দির সড়কে আবারও দখল
বাঁকে বিহারী মন্দিরের রাস্তা ও গলিতে দখল সমস্যার একটি প্রধান কারণ। বিদ্যাপীঠ চত্বর থেকে বাঁকে বিহারী পুলিশ চৌকি পর্যন্ত রাস্তার হকারদের পাশাপাশি দোকানদারদের কারণে মানুষ পর্যাপ্ত পথ খুঁজে পাচ্ছেন না। পণ্ডিত রমেশ পূজারি, সত্যনারায়ণ প্রমুখ বলেন, হোলির আগে পৌর কর্পোরেশনের উচিত ছিল দখল অপসারণ অভিযান চালানো, কিন্তু সেরকম কিছুই হয়নি।

Advertisements

ভক্তরা বাঁকেবিহারীর ভক্তি আর রঙে সিক্ত
বৃন্দাবনের মন্দির, কুঞ্জ গলি ও আশ্রমে হোলির উচ্ছ্বাস বাড়ছে। চানহুর মাস্তিতে মগ্ন ভক্তদের গুলাল বর্ষণ করতে দেখা যায়। দেশ-বিদেশের ভক্তরা মন্দিরে প্রসাদির রঙ, গুলাল ও তেসু ফুলের রঙে সিক্ত হয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছেন।

রং ভরনি একাদশী থেকে শুরু হওয়া হোলি উৎসব উপভোগ করছে মানুষ। রবিবার বাঁকেবিহারী মন্দিরেও পালিত হল হোলি উৎসব। সকাল-সন্ধ্যায় ভক্তদের গায়ে প্রাকৃতিক রঙের বর্ষণ করা হয়। সেবাকর্মীরা সোনা-রূপার পিচকারি দিয়ে ভক্তদের গায়ে রং ছিটিয়ে দেন। ঠাকুর রাধাবল্লভ মন্দির, রাধারমণ ও রাধা দামোদরেও হোলি উৎসব পালিত হয়।