হিমাচল প্রদেশে মেঘের খোঁজ নেই, ৯৭ শতাংশ কমেছে বৃষ্টিপাত, ছয় জেলায় বৃষ্টি শূন্য মিলিমিটার

হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) পাহাড়ি রাজ্য থেকে বর্তমানে মেঘ এবং বৃষ্টি অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। রাজ্যের আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে উঠেছে এবং গত ২৩…

Himachal Pradesh

হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) পাহাড়ি রাজ্য থেকে বর্তমানে মেঘ এবং বৃষ্টি অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। রাজ্যের আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে উঠেছে এবং গত ২৩ দিনে ছয়টি জেলায় শূন্য মিলিমিটার (Zero Millimeters) বৃষ্টিপাত (Rainfall) রেকর্ড করা হয়েছে। সিমলার আবহাওয়া কেন্দ্রের পরিচালক কুলদীপ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, ২ অক্টোবর বর্ষা বিদায় নেওয়ার পর রাজ্যে বৃষ্টিপাত বন্ধ হয়ে যায়, ফলে একটি দীর্ঘ শুষ্ক স্পেল দেখা যাচ্ছে।

বৃষ্টির অভাবে রাজ্যের জলাশয়গুলোতে জলস্তর কমে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অক্টোবরে সাধারণত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম থাকে, তবে এই বছর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। অক্টোবর মাসে রাজ্যে গড়বেতর ২২.৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু বর্তমানে মাত্র ০.৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে আবহাওয়া পরিষ্কার থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

   

রাজ্যের ছয়টি জেলা—বিলাসপুর, চাম্বা, হামিরপুর, কুল্লু, সিরমাউর এবং সোলানে ১০০ শতাংশ বৃষ্টির অভাব দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে, কাংড়ায় ১.৫ মিমি, কিন্নরে ০.৪, লাহৌল স্পিতিতে ০.১, মান্ডিতে ৩.৪, সিমলায় ০.২ এবং উনায় ৮.৬ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিভিন্ন জেলায় ভিন্নভাবে রেকর্ড করা হয়েছে। হামিরপুরে সর্বোচ্চ ৩২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চাম্বায় ২৮.১, ভারমৌরে ২২.৬, ধর্মশালায় ২৬.০, কাংড়ায় ২৯.১, পালমপুরে ২৪.৫, বিলাসপুরে ৩০.৫, এবং সিমলায় ২১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শীতের আগমন উপলক্ষে অনেকেই আশা করেছিলেন যে কিছু বৃষ্টি হবে, কিন্তু মেঘের অভাবে সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। বিশেষ করে কৃষকদের জন্য এই পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। বর্তমানে রবি মৌসুমের ফসল লাগানোর সময়, তাই কৃষকরা তাদের ফসল রক্ষার জন্য নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।

সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসন এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচার চালাচ্ছে। তারা জনগণকে জানাচ্ছে যে, আগামী দিনগুলোতে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে এবং কৃষকদের প্রস্তুতি নিতে বলছে।
অবশেষে, হিমাচল প্রদেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। আগামী দিনগুলোতে বৃষ্টির অভাব এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি কৃষি, পরিবেশ ও সাধারণ জনজীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। আশা করা হচ্ছে, শীঘ্রই মেঘেরা আবার ফিরে আসবে এবং রাজ্যটিকে বৃষ্টির ধারায় ভাসিয়ে দেবে।