Himachal Pradesh Disaster: হিমাচলের ১৭ হাজার জায়গায় ভূমিধসের আশঙ্কা

যোশীমঠের মতো বিপদ কি এখন হিমাচল প্রদেশেও (Himachal Pradesh Disaster) ঘোরাফেরা করছে?

Himachal Pradesh Disaster

যোশীমঠের মতো বিপদ কি এখন হিমাচল প্রদেশেও (Himachal Pradesh Disaster) ঘোরাফেরা করছে? এই প্রশ্ন উঠছে কারণ জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে যে হিমাচল প্রদেশে ১৭,০০০টি স্থান রয়েছে যেখানে ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে এবং এর মধ্যে ১,৩৫৭টি স্থান শুধুমাত্র সিমলায় রয়েছে। বৃষ্টিতে মাটি ক্রমাগত ফুলে যাচ্ছে, এতে রাস্তা ও ঘরবাড়ি ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

রাজ্য সরকার ভূমি তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলি চিহ্নিত করতে এবং সেখানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ক্ষমতা এবং সতর্কতা ব্যবস্থা উন্নত করার নির্দেশনা দিয়েছে। এছাড়াও সেখান থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ করা হলেও এখনও অনেক এলাকা রয়েছে যেখানে বড় ধরনের বিপদ রয়েছে।

ভূমিধসের কবলে পড়ে শিব মন্দিরও
সম্প্রতি, শিমলার কৃষ্ণ নগর এলাকায় একটি বিপজ্জনক ভূমিধস হয়েছে। এখানে একটি ভবনের উপর একটি গাছ পড়েছিল। এর পর ভবনটি ধসে পড়ে। একইভাবে, সোমবার সামার হিল এলাকার শিব মন্দির ভূমিধসের কবলে পড়ে। এখানে এখনও উদ্ধারকাজ চলছে। অনেক মৃতদেহ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, এখনও মৃতদেহের সন্ধান চলছে।

ভূমিধসের পর সাধারণ মানুষের ওপর যে পাহাড় ভেঙেছে, তাতে কত পরিবার শ্বাসরুদ্ধকর ধ্বংসস্তুপ পেয়েছে, তা কেউ কল্পনাও করতে পারবে না। গত ৪ দিন ধরে, টন মাটির ধ্বংসস্তূপে চাপা মন্দিরের ভিতর থেকে প্রিয়জনকে বের করে আনার ভগ্ন আশা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন কিছু মানুষ।

সিমলায় নতুন ভবন নির্মাণ আত্মধ্বংসকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে
সিমলার সার্কুলার রোডের মূল এলাকার অনেক এলাকা, দুটি ডুবন্ত অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে দ্য রিজ, গ্র্যান্ড হোটেল, লক্কর বাজার, সেন্ট্রাল স্কুল, অকল্যান্ড নার্সারি স্কুল, ধোবিঘাট, কৃষ্ণ নগর, কমলি ব্যাংক এবং হোটেল ক্লার্কসের আশেপাশের এলাকা যেখানে নতুন কোনো ভবন আসছে না। তৈরি করা মানেই ধ্বংসকে আমন্ত্রণ জানানো। প্রশাসন নিজেই এসব স্থানকে বিপজ্জনক এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে।

সিমলায় ২৫ হাজার মানুষ বাস করছে, আড়াই লাখ বাস করছে
২৫,০০০ জনসংখ্যার জন্য নির্মিত সিমলা শহরে এখন আনুমানিক ২.৩ লক্ষ লোক রয়েছে। ৭০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঢালে ভবন নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হলেও মানুষ নানা ধরনের নির্মাণ করে নিজের মৃত্যুতে মেতেছে।