‘সাম্প্রদায়িক মানসিকতা নিয়ে চলেছে ওআইসি’, কড়া জবাব ভারতের

কর্নাটকের হিজাব বিতর্ক ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। হিজাব বিতর্ককে সামনে রেখে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশনে ভারতের উপর চাপ তৈরির চেষ্টা চালাল অরগানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন…

কর্নাটকের হিজাব বিতর্ক ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। হিজাব বিতর্ককে সামনে রেখে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশনে ভারতের উপর চাপ তৈরির চেষ্টা চালাল অরগানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন বা ওআইসি। এর অন্যতম প্রধান সদস্য দেশ হল পাকিস্তান। কিন্তু পাকিস্তানের প্ররোচনায় কথা বলতে গিয়ে ফের একবার মুখ পোড়াল ওআইসি।

কড়া জবাব দিয়ে ভারত পাল্টা জানিয়েছে, ওআইসির সচিবালয় কিছু দেশ তথা রাষ্ট্রের স্বার্থে কাজ করছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, ভারতে যে কোনও সমস্যার সমাধান খোঁজা হয় দেশের সাংবিধানিক কাঠামো এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে। যে কোনও ধরনের সমস্যার স্বাভাবিক সমাধানের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ওআইসির সচিবালয় সাম্প্রদায়িক মানসিকতায় আচ্ছন্ন। তাই তারা বাস্তব পরিস্থিতি যথাযথ উপলব্ধি করতে পারছে না। ভারতের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অপপ্রচার চালাতে কিছু বিশেষ শক্তি ওআইসিকে নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগাচ্ছে।

উল্লেখ্য, কর্নাটকের কলেজে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরায় বাধা দেওয়ার ঘটনায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানায় ওআইসি। ভারতের কাছে এক আবেদনে ওআইসি জানিয়েছে, দেশের সমস্ত নাগরিকদের জীবনযাত্রার সুরক্ষার সঙ্গে সঙ্গেই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হিংসা ও ঘৃণামূলক অপরাধের ঘটনায় যুক্ত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। উল্লেখ্য, ওআইসির অন্যতম প্রধান সদস্য পাকিস্তান। আগেই কর্নাটকের হিজাব বিতর্কের কড়া নিন্দা করেছে ইসলামাবাদ। তবে ওআইসিকে এবার ভারতও পাল্টা স্পষ্ট জানিয়ে দিল, দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যার সমাধান সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যেই করা হবে। এ বিষয়ে অন্য কারও নাক গলানোর প্রয়োজন নেই।