ভরা আষাঢ়েই হেমন্তের ঝড়! বিধানসভায় প্রবল চাপে বিজেপি?

ভরা বর্ষার মাঝেই হেমন্তের (Hemant Soren) ঝোড়ো হাওয়া ঝাড়খণ্ডের বিধানসভায়। দিন কয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আবারও শপথ নিয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। আর এবার বিধানসভাতে…

ভরা বর্ষার মাঝেই হেমন্তের (Hemant Soren) ঝোড়ো হাওয়া ঝাড়খণ্ডের বিধানসভায়। দিন কয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আবারও শপথ নিয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। আর এবার বিধানসভাতে আস্থা ভোটেও অটুট আস্থা অর্জন করলেন হেমন্ত (Hemant Soren)। যদিও একেবারেই শান্তিপূর্ণ আবহাওয়ায় নয়। বিরোধীদের হৈ-হট্টগোল, ওয়াকআউট সবই ছিল। তারপরেও শেষ হাসি হেসে হেমন্তের (Hemant Soren) মুখ্যমন্ত্রীত্বেই চলবে ঝাড়খণ্ডের প্রশাসন।

দুর্নীতি মামলায় ইডি হাতে হয়েছিলেন গ্রেফতার। সে সময় গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। নিজের অনুগত এবং ভরসার চম্পাই সোরেনকে করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জামিন পাওয়ার পরেই চম্পাই পদত্যাগ করলেন। নতুনভাবে আবারও মুখ্যমন্ত্রীর পদে ফিরলেন হেমন্ত (Hemant Soren)।

   

বাগদাকে বাগে আনতে উপনির্বাচনের আগে শান্তনুর এনআরসি হুমকি?

কিন্তু তারপরেও আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে। যদিও অঙ্কের হিসাবে কার্যত জয় নিশ্চিত ছিল তাঁর। বিধানসভায় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নিজের ২৭ জন বিধায়কের পাশাপাশি কংগ্রেসের ১৭টি এবং আরজেডির একজন বিধায়ক মিলে সোরেনের হাতে রয়েছে মোট ৪৫ জন বিধায়কের সমর্থন। অন্যদিকে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোটে ৩০ জন বিধায়ক রয়েছেন। কয়েকজন বিধায়কের লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কারণে কক্ষের সদস্য সংখ্যা কমে গিয়েছে। তাই হেমন্তে জন্য ৩৮টি ভোটই যথেষ্ট ছিল আস্থা ভোটে জয়ী হতে।

জমি দুর্নীতি মামলাতে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরেও, নিজের দলে হেমন্তের গ্রহণযোগ্যতা বিন্দুমাত্র টাল খায়নি। আর তার বড় প্রমাণ এই আস্থা ভোটে ৪৫-এ ৪৫ পাওয়া। বিরোধীরা ওয়াক আউট করলেও রীতিমতো স্টারমার্কস নিয়ে পাশ করে গেলেন হেমন্ত। আপাতত তাঁর সামনে আর কোনও বাধাই রইল না।

দুরন্ত জয় উদযাপনে পুলিশি পাহাড়ায় বিলানো হল মদের বোতল! বিজেপি কর্মীদের কাণ্ডে শোরগোল

কিন্তু ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে এবার শুরু হল নতুন জল্পনার। কারণ এর পরপরই মন্ত্রীপদ সম্প্রসারণ এবং মন্ত্রীত্বের অদল-বদল এর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে নিজের দল এবং সহযোগীদের কাদের কাদের সুযোগ দেবেন হেমন্ত? সেই প্রশ্নটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এই বছরই ঝাড়খন্ডে বিধানসভা নির্বাচন। দুর্নীতি মামলায় হেমন্তের গ্রেপ্তার হওয়াটা যে বড় একটা ইস্যু হতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। আর এরকম অবস্থাতে জনগণের কাছে নিজের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি এবং প্রশাসনিক দক্ষতা তুলে ধরতে মরিয়াই হবেন হেমন্ত। ভরা আষাঢ়ে হেমন্তের দুর্দান্ত কামব্যাক তো হল। এবার বিধানসভায় আবারও জয়ের ব্লু-প্রিন্ট সাজাতে কী কী পদক্ষেপ নেন হেমন্ত, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক মহল।