টানা বৃষ্টির কারণে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে চরম বিপাকে পড়ছে মানুষ। উত্তরপ্রদেশের অনেক এলাকায় বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে দিল্লি-এনসিআর-এর অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা গিয়েছে। উত্তরপ্রদেশে বৃষ্টির কারণে ১৯ জন এবং ১৪০টি ভেড়ার মৃত্যু হয়েছে। বৃষ্টির কারণে উত্তরাখণ্ডেও ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর (IMD) আগামী কয়েকদিনের মধ্যে অনেক রাজ্যে আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।
IMD সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) পূর্ব উত্তরপ্রদেশের জন্য একটি লাল সতর্কতা জারি করেছে। এবং জানিয়েছে যে, ‘১১ সেপ্টেম্বর পূর্ব উত্তর প্রদেশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই বর্ষাকালে, আপনাদের সকলকে কাঁচা এবং প্রবল জলাবদ্ধ এলাকায় না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে’।
আবহাওয়া দফতর সোমবার দিল্লিতে আংশিক মেঘলা আকাশ এবং দু-এক জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনার পূর্বাভাস দিয়েছে। উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশে জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে যে, ১১ সেপ্টেম্বর উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশে ভারী থেকে খুব ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদেও ভারী বৃষ্টি হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের বারাবাঙ্কিতে গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে অনেক জায়গায় প্রবল জলাবদ্ধতার সমস্যা দেখা দিয়েছে। ভারী বৃষ্টির প্রভাব বারাবাঙ্কি রেলস্টেশনে এবং রেলপথ জলে ভরে গিয়েছে। রাজ্যের ত্রাণ কমিশনার বলেছেন যে, উত্তরপ্রদেশে গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টি-সম্পর্কিত ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। কনৌজ জেলার লালকিয়াপুর গ্রামে বৃষ্টির কারণে একটি কাঁচা ঘর ধসে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। ভারী বৃষ্টি ও জলে ডুবে মারা গেছে চারজন হারদোই, দেওরিয়া, কানপুর শহর, রামপুর, সম্বল এবং উন্নাওতের একজন করে বাসিন্দা।
লখনউ ডিএম সূর্য পাল গাঙ্গওয়ার জানিয়েছেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় লখনউতে ৯৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আজ সকাল থেকে পৌর কর্পোরেশনের একটি দল বৃষ্টির জল সরাতে কাজ করছে। গোমতী ব্যারেজে নদীর জলস্তর পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি’।
প্রবল বৃষ্টিতে লখনউয়ের হজরতগঞ্জ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ ও হারদোইতে বৃষ্টির কারণে অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতা রয়েছে। একই সময়ে, উত্তরাখণ্ডের চম্পাওয়াতে টানা ভারী বৃষ্টির পরে, NH-9-এ ধ্বংসাবশেষের কারণে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে।
ওড়িশায় জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। আইএমডি জানিয়েছে যে ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওড়িশায় ভারী থেকে খুব ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতেও কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিভাগটি জানিয়েছে যে, ১২ সেপ্টেম্বর আসাম এবং মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একই সময়ে, ১৫ সেপ্টেম্বর ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নিয়ে ছত্তিশগড়ে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।