উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কৌশাম্বি জেলায় এক প্রবেশন অফিসারের শ্লীলতাহানির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, জেলা প্রবেশন আধিকারিক রাজনাথ রাম অফিসে এক অধস্তন মহিলা কর্মচারীকে শ্লীলতাহানি করছেন। এমনকি মহিলা কর্মচারীর বিরোধিতা করার পরেও প্রবেশন অফিসার তাকে জোর করে।
শ্লীলতাহানির ভিডিও সামনে আসার পর, ডিএম সুজিত কুমার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মহিলা ও শিশু উন্নয়ন দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে চিঠি লিখেছেন। শ্লীলতাহানির মামলাটি বিকাশ ভবনে জেলা প্রবেশন অফিসারের অফিসের সাথে সম্পর্কিত।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুজিত কুমার ঘটনার প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘জেলা প্রবেশন আধিকারিকের অধস্তন মহিলা কর্মচারীর শ্লীলতাহানির ভিডিও সামনে এসেছে। কিছু অশ্লীল হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্তে এডিএম জুডিশিয়ালের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে। তদন্তে প্রাথমিকভাবে জেলা প্রবেশন অফিসার রাজনাথকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বলেছেন, “স্টাফ কন্ডাক্ট রুলসের অধীনে অভিযুক্ত অফিসারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মহিলা ও শিশু উন্নয়ন দপ্তরের প্রধান সচিবকে একটি চিঠি লেখা হয়েছে। এর পাশাপাশি, পুলিশ সুপার ব্রজেশ শ্রীবাস্তবের সাথে কথা বলার পরে, সংক্ষুব্ধ মহিলা কর্মচারীর অভিযোগের ভিত্তিতে মাঞ্জানপুর থানায় জেলা প্রবেশন অফিসারের বিরুদ্ধে একটি রিপোর্ট দায়ের করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, জেলা প্রবেশন অফিসারের পদটি সাধারণত রাজ্য সরকারের সমাজকল্যাণ বা মহিলা ও শিশু উন্নয়ন বিভাগে জেলা স্তরে প্রশাসনিক হয়। এটি একটি গেজেটেড স্তরের পোস্ট। তাদের কাজ হল বিচার বিভাগীয় আদালত এবং কারাগারের সাথে যোগাযোগ করা, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের সাথে নিয়মিত বৈঠক করা এবং গ্রাম পর্যায়ে প্রাথমিক তদন্ত করা।