হার্দিক (Hardik Patel) নাকি জিগনেশ (Jignesh Mevani)? কার পাল্লা ভারি চলছে চর্চা। গুজরাট বিধানসভা ভোটে দুই তরুণ নেতা যুযুধান দুই শিবিরের মুখ।
চলতি মাসেই বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন পতিদার আন্দোলনের নেতা কংগ্রেস ত্যাগী হার্দিক প্যাটেল। শনিবার ট্যুইটে হার্দিক শ্রদ্ধা জানান সাভারকারের জন্মদিনো। এর পর থেকেই তাঁর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে। মূলত সাভারকারের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন সংঘ পরিবার ও বিজেপি নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে গান্ধীনগরে বিপুল জমায়েতের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন তিনি। চলতি মাসেই কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিয়েছেন হার্দিক প্যাটেল
গুজরাট নির্বাচনের আগে হার্দিক কে হারিয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে কংগ্রেস। তবে তাদের তুরুপের তাস জিগনেশ মেভানি। প্রবল বিজেপি ও সংঘ বিরোধী জিগনেশ আগেই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তিনি বিধায়ক। গুজরাট বিধানসভায় নির্বাচনে তিন্ কংগ্রেসের পোস্টার বয় হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
গুজরাটে দলিত, আদিবাসী, ওবিসি এবং মুসলিম ভোটারদের মধ্যে জিগনেশ জনপ্রিয়। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনি জিগনেশ বারবার মোদী বিরোধী আন্দোলনের তরুণ মুখ হিসেবে সতীর্থ কানহাইয়ার সঙ্গে পরিচিত হন। পরে কানহাইয়া সিপিআই ছেড়ে কংগ্রেসে সামিল হন। একইসঙ্গে জিগনেশও কংগ্রসে যোগ দেন।
সম্প্রতি জিগনেশকে মোদী বিরোধী মন্তব্যের কারণে গুজরাট থেকে গ্রেফতার করেছিল অসম পুলিশ। তাঁকে অসমে নিয়ে যাওয়া হয়। জিগনেশের বিরুদ্ধে পুলিশের ভূমিকাকে তীব্র কটাক্ষ করে আদালত। তিনি জামিন পান। কংগ্রেস মনে করছেন যেভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে জিগনেশ ততটা ঝাঁঝ নেই হার্দিকের।জনসংযোগে দক্ষ জিগনেশ মেভানি।