কৃষকদের ১০ লক্ষ টাকা দেবে সরকার, ৩১ আগস্টের মধ্যে করুন আবেদন

লোকসভা ভোট মিটতে না মিটতেই এবার রাজ্যের কৃষকদের জন্য বড় ঘোষণা করল সরকার। এবার সকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে বিপুল টাকা। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এক ধাক্কায়…

লোকসভা ভোট মিটতে না মিটতেই এবার রাজ্যের কৃষকদের জন্য বড় ঘোষণা করল সরকার। এবার সকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে বিপুল টাকা। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এক ধাক্কায় ১০ লক্ষ টাকা অবধি কৃষকদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। সকলকে ৩১ আগস্টের মধ্যে আবেদন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

না তবে বাংলা নয়, এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিহার সরকার। বিহার সরকার রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনার আওতায় কৃষিপণ্য সংরক্ষণের জন্য একটি গুদাম নির্মাণ প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় কৃষকরা ফসল সংরক্ষণের জন্য ১০০ এবং ২০০ মেট্রিক টন গুদাম তৈরি করতে পারেন। এর উপর সরকার ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনুদান দেবে।

   

এই প্রসঙ্গে জেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার জানান, চলতি বছর এখন পর্যন্ত তিনটি গোডাউন নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০০ মেট্রিক টনের দুটি ও ২০০ মেট্রিক টনের একটি ওয়্যারহাউজ নির্মাণ করা হবে। ১০০ মেট্রিক টন গোডাউন নির্মাণে মোট ১৪ লক্ষ টাকা এবং ২০০ মেট্রিক টন গোডাউন নির্মাণে ২০ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে। সরকার ২০০ মেট্রিক টন গুদাম নির্মাণের জন্য সাধারণ বিভাগে ৮ লক্ষ টাকা এবং এসসি-এসটি বিভাগের কৃষকদের ১০ লক্ষ টাকা অনুদান দেবে।

১০০ মেট্রিক টন গোডাউন নির্মাণের জন্য সাধারণ শ্রেণির কৃষকদের ৫.৫ লক্ষ টাকা এবং এসসি-এসটি বিভাগের কৃষকদের ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হবে। অনুদান বাদে বাকি টাকা কৃষকদের নিজেদেরই গোডাউন নির্মাণে ব্যয় করতে হবে। ইতিমধ্যে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত আবেদন করেছেন সাতজন। আগ্রহীরা আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

লটারির মাধ্যমে কৃষকদের বাছাই করা হবে। এর আগে প্রাপ্ত আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে। শুধুমাত্র সঠিক পাওয়া আবেদনকারীরাই লটারিতে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। এর পাশাপাশি গোডাউন তৈরির জন্য কৃষকদের জমি দিতে হবে। কৃষকদের আপাতত কিছু শর্ত মানতে হবে। যেমন…

১) গুদামের জন্য কৃষকদের কৃষি বিভাগের ডিবিডি পোর্টালে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
২) আবেদনকারীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর, নাম, ঠিকানা, এলপিসিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে।
৩) যে জমিতে গুদাম নির্মাণ করা হবে সেই জমিতে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে হবে।
৪) জিপিএস লোকেশনসহ এই ছবি আপলোড করলেই আবেদনটি অনুমোদিত বলে বিবেচিত হবে।
৫) এরপর আবেদনটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দিয়ে যাচাই-বাছাই করা হবে।
৬) আবেদনটি সঠিক হলেই তবেই তা লটারিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।