এবার থেকে খাকি হাফপ্যান্টে অফিস যেতে পারবেন দেশের আমলা ও সরকারি কর্মীরা। যোগ দিতে পারবেন আরএসএসে যোগদানে। সম্প্রতি এমনই এক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। সেখানে বলা হয়েছে, এখন থেকে আরএসএসের কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন সরকারি কর্মীরা। এমনকী উচ্চপদস্থ আমলারাও যোগ দিতে পারবেন নাগপুরের বিভিন্ন কর্মসূচিতে। আর এই নির্দেশিকা জারি করার পর থেকেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশের রাজনৈতিক মহলে।
কংগ্রেসসহ বিরোধীদের দাবি, এই নয়া নিয়মে সরকারি প্রশাসনে গেরুয়াকরণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলাই মোদী-শাহদের লক্ষ্য। সেই কারণেই বিগত ৫৮ বছর পর এই নিয়ম বদলে ফেলতে চাইছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আরএসএসকে নিষিদ্ধ করেছিলেন। ১৯৪৬ সালে ভয়াবহ হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদত দেওয়া এবং ১৯৪৮ সালে গান্ধীজিকে হত্যার কারণেই এই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছিলেন তিনি। তখন থেকেই বন্ধ হয় সরকারি কর্মীদের আরএসএসে যোগদানের প্রথা। এবার সেই পুরনো প্রথাই পুনরায় চালু করতে চায় বিজেপি। এই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন জয়রাম রমেশ ও পবন খেড়ার মতো হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতারা।
Sardar Patel had banned the RSS in February 1948 following Gandhiji’s assassination.
Subsequently, the ban was withdrawn on assurances of good behaviour. Even after this the RSS never flew the Tiranga in Nagpur.
In 1966, a ban was imposed – and rightly so – on government… pic.twitter.com/Lmq7yaybR4
— Jairam Ramesh (@Jairam_Ramesh) July 21, 2024
নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে এই ইস্যুকে পোস্ট করে কেন্দ্রকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন তাঁরা। ১৯৪৮ সালে গান্ধীজিকে হত্যার কারণেই এই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছিলেন তিনি। তারপর শান্তি ও সংহতি বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তারপরই আরএসএসকে পুনরায় স্বীকৃতি দেয় তদকালীন কংগ্রেস সরকার। অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলেও এই সিদ্ধান্ত বদল হয়নি। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর আমলে গেরুয়াকরণের উদ্দেশ্যেই এই নিয়ম বদল। পবন খেড়াও, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করেন।সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে তার হতাশা প্রকাশ করেছেন।