লকডাউনে শ্রমিক-সাইকেল আটক করে ২১ লক্ষ টাকা আয় করল রাজ্য

শ্রমিকদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা সাইকেল থেকে লক্ষাধিক টাকা আয় করল রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশ সরকার লকডাউনের সময় বাড়ির দিকে যাওয়া শ্রমিকদের কাছ…

শ্রমিকদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা সাইকেল থেকে লক্ষাধিক টাকা আয় করল রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশ সরকার লকডাউনের সময় বাড়ির দিকে যাওয়া শ্রমিকদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হাজার হাজার সাইকেল থেকে ২১ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেছে।

সাহারানপুর জেলা ৫,৪০০ টি বাজেয়াপ্ত করা শ্রমিকদের সাইকেল নিলামে তুলেছিল যা শ্রমিকরা নিতে আসতে পারেনি। কেন হাজার হাজার শ্রমিকের সাইকেল নিলামে তুলতে হল প্রশাসনকে?


লকডাউন চলাকালীন শ্রমিকদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হাজার হাজার সাইকেল আজ আবর্জনার আকারে পড়ে রয়েছে সাহারানপুরের একটি নির্জন মাঠে। ওই সব সাইকেলের গদিতে লেখা নম্বরের টোকেন দেওয়া হত ওই শ্রমিকদের। কিন্তু শত শত কিলোমিটার দূরে ফিরে আসা শ্রমিকদের সাহস নাও থাকতে পারে এবং কোনও অর্থ অবশিষ্ট নেই, যারা ভাড়া ব্যয় করে আবর্জনা হয়ে যাওয়া সাইকেলগুলি সংগ্রহ করতে আসবে।

তাই দু’বছর অপেক্ষার পর ২১ লক্ষ টাকায় শ্রমিকদের ৫ হাজারেরও বেশি সাইকেল নিলামে তোলে প্রশাসন। সাহারানপুরের ঠিকাদার জিতেন্দ্র বলেন, প্রশাসন ৫,৪০০ টি সাইকেল নিলামের কথা ঘোষণা করেছিল, আমরা ২১ লক্ষ টাকায় নিয়েছিলাম, যদি গণনা করা হয় তবে মাত্র ৪,০০০ সাইকেল রয়েছে। নিলামে এসব সাইকেল কিনতে গিয়ে লোকসান হয়েছে।

লকডাউনের সময় পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ থেকে সাইকেলে করে পরিযায়ী হতে শুরু করেন বহু শ্রমিক। এই অবস্থায় পরিযায়ী শ্রমিকদের হাব হয়ে ওঠে সাহারানপুর। সাহারানপুরে তিনটি রাজ্যের সীমানা রয়েছে। তার জেরে পঞ্জাব, হরিয়ানা ও হিমাচল থেকে পালিয়ে আসা শ্রমিকদের নিয়ে আসে প্রশাসন।

দু’বছর আগে পালিয়ে আসা শ্রমিকদের আটকে দিচ্ছিল প্রশাসন। এ সময় তাদের সাইকেল জব্দ করে কোয়ারেন্টাইন করা হয়। পরে তাদের বাস ও ট্রেনে করে পাঠানো হয়। কিন্তু তাদের সাইকেলগুলো এখানেই রয়ে গেছে। এখন যে ঠিকাদাররা এই শ্রমিকদের সাইকেল নিলাম করেছে তারা প্রতিটি সাইকেলের দাম ১২০০ টাকা করে দিচ্ছে, কিন্তু ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।